অন্য নাটকের থেকে এই নাটক কিছুটা স্বতন্ত্র। এখানে দেখা গেছে ‘ইকো-ফেমিনিজম’-এর নতুন ভাবনার প্রতিফলন। ১৯৭৪ সালে প্রথম এই সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা হয়। ভারতে আসে অনেক দেরিতে। এই নাটকে সেই প্রভাব যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
এক দিকে রাজা দত্তাত্রেয়-র পুরুষতান্ত্রিক বলশালী দেশ। অন্য দিকে, নারী অধ্যুষিত সুজলা, সুফলা পার্শ্ববর্তী দেশ। এক যুগ অন্তর পুরুষতান্ত্রিক দেশ লুঠ করে সুজলা, সুফলা ভূমিকে। চলে ধর্ষণও। কিন্তু কিছুই থেমে থাকে না। আবার বুক বেঁধে মাথা তোলার পালা। সৃষ্টি পুত্রসন্তানের। একটু বড় হতেই বদলা নিতে সে চলে যায় পাশের দেশে। কাব্যিক ও ছান্দিক সংলাপ এই নাটকের প্রাণস্পন্দন। ছৌ নৃত্য, দক্ষিণ ভারতের শিল্প ‘কালারি’ ও অন্যান্য প্রাচ্য ধারার মিশ্রণে নাটকে যুদ্ধের দৃশ্যগুলি নাটককে অন্য মাত্রা এনে দেয়। নাটকে প্রাধান্য পেয়েছে লালন ও বাউলের গান।
অভিনয়ে অন্তিকা চট্টোপাধ্যায়, পারিজাত সরকার, রূপসা মুখোপাধ্যায়, দেবযানী গুপ্ত, তনুশ্রী সরকার, শ্রেষ্ঠা সরকার, সুমিত দে, সুপ্রতিম প্রমুখ। আবহে অনিন্দ্যসুন্দর চক্রবর্তী। |