নাটক সমালোচনা ১...

পরিণামের পথ চেয়ে
পুরুষের কলমে, তুলিতে বারবার নারীকে তুলনা করা হয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী শোষিত হচ্ছে দু’জনেই। প্রকৃতি ও নারী আজ শুধুমাত্রই ভোগ্য। অন্য দিকে, সৃষ্টি ও তার সম্ভোগের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও গভীরে প্রবেশ করে যখন ইচ্ছা পরিণত হয় লালসায়। ‘নতজানু প্রেম যত দিন নতজানু থাকে ততই ভাল, কাছে টানলে যে সে বুকে থাবা বসাতে চায়।’ এই বার্তাকে সামনে রেখেই গোত্রহীন (দমদম)-এর নাটক ‘নীলকণ্ঠ দেশ’। যেখানে জোরালো হয় সেই বার্তা, ‘এত দিনে প্রমাণ করলে তুমিও পুরুষ। তুমিও যে মারণাস্ত্র আবিষ্কার করতে পার।’ আবেগের বাইরেও দর্শকদের এক নতুন ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন নির্দেশক সুপ্রতিক রায়।

অন্য নাটকের থেকে এই নাটক কিছুটা স্বতন্ত্র। এখানে দেখা গেছে ‘ইকো-ফেমিনিজম’-এর নতুন ভাবনার প্রতিফলন। ১৯৭৪ সালে প্রথম এই সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা হয়। ভারতে আসে অনেক দেরিতে। এই নাটকে সেই প্রভাব যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
এক দিকে রাজা দত্তাত্রেয়-র পুরুষতান্ত্রিক বলশালী দেশ। অন্য দিকে, নারী অধ্যুষিত সুজলা, সুফলা পার্শ্ববর্তী দেশ। এক যুগ অন্তর পুরুষতান্ত্রিক দেশ লুঠ করে সুজলা, সুফলা ভূমিকে। চলে ধর্ষণও। কিন্তু কিছুই থেমে থাকে না। আবার বুক বেঁধে মাথা তোলার পালা। সৃষ্টি পুত্রসন্তানের। একটু বড় হতেই বদলা নিতে সে চলে যায় পাশের দেশে। কাব্যিক ও ছান্দিক সংলাপ এই নাটকের প্রাণস্পন্দন। ছৌ নৃত্য, দক্ষিণ ভারতের শিল্প ‘কালারি’ ও অন্যান্য প্রাচ্য ধারার মিশ্রণে নাটকে যুদ্ধের দৃশ্যগুলি নাটককে অন্য মাত্রা এনে দেয়। নাটকে প্রাধান্য পেয়েছে লালন ও বাউলের গান।
অভিনয়ে অন্তিকা চট্টোপাধ্যায়, পারিজাত সরকার, রূপসা মুখোপাধ্যায়, দেবযানী গুপ্ত, তনুশ্রী সরকার, শ্রেষ্ঠা সরকার, সুমিত দে, সুপ্রতিম প্রমুখ। আবহে অনিন্দ্যসুন্দর চক্রবর্তী।

Previous Item Patrika Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.