চিকিৎসক হতে চায় ক্যানিংয়ের সোমদত্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²ক্যানিং |
পরিবারে চরম আর্থিক অনটনও টলাতে পারেনি ক্যানিং দ্বারিকানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীটিকে। ভাল রেজাল্ট করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে সে। তারই সাফল্য এখন ক্যানিং মহকুমার কৃতী ছাত্রী সোমদত্তা কুণ্ডুর হাতের মুঠোয়। মাধ্যমিকে ৭২৬ নম্বর পেয়ে মহাকুমায় প্রথম হয়েছে সোমদত্তা। বাবা বিশ্বনাথ কুণ্ডুর কোনও নিদির্ষ্ট আয় নেই। মা ঝর্নাদেবী অঙ্গনওয়াড়িকর্মী। অভাবের সংসারে বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সোম দত্তা। |
|
|
বাবা-মায়ের সঙ্গে সোমদত্তা। ছবি: সামসুল হুদা। |
অত্যন্ত জেদি মেয়েটি তাই চায় কিছু করে দেখাতে। নিয়মিত ১২-১৪ ঘন্টা পড়াশুনা আর ধৈর্যই তাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে বলেস জানাল সোমদত্তা। বরাবর গৃহশিক্ষক ছাড়াই পড়াশোনা করলেও মাধ্যমিকে আগে ইংরাজি ও বিজ্ঞানের জন্য দু’জন শিক্ষকের সাহায্য নিয়েছে সে। বই-খাতা কোনওমতে বাবা মা জোগাড় করে দিয়েছেন। ঝর্নাদেবী বলেন, “ছোট থেকেই মেয়ের তেমন কোনও চাহিদা নেই। হয়তো বুঝতে পেরেছিল আমাদের অসহায়তা।” কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের অনুরাগী সোমদত্তার ভাল লাগে তাঁর প্রতিবাদী চরিত্র ও মানসিকতা। ক্যানিং থানার ১ নম্বর পশ্চিম দিঘিরপাড়ের একচিলতে ঘরে থেকে সোমদত্তা স্বপ্ন দেখে চিকিৎসক হওয়ার। গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল ছবি আর ডাক্তারের অপ্রতুলতা তাকে এই পেশার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে বলে জানায় সোমদত্তা। যদিও মেয়ের এই ইচ্ছা নিজেদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে কী ভাবে পূরণ করবেন জানেন না বাবা-মা। স্কুলের সম্পাদক ও বাসন্তীর কংগ্রেস নেতা অর্ণব রায় বলেন, “দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে সোমদত্তা যে এই রেজাল্ট করেছে তার জন্য তাকে অভিনন্দন জানাতে হয়। ভবিয্যতে সে যাতে আরও ভালভাবে পড়াশুনা করে এগিয়ে যেতে পারে সে দিকে আমাদের সকলের নজর দেওয়া উচিত।” |
|