|
|
|
|
হাসপাতাল, পুলিশ আরও মানবিক হোক, বললেন উপেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বনগাঁ |
থানায়, হাসপাতালে গিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে ‘হেনস্থা’ না হন। তাঁরা যাতে মানুষের ‘মর্যাদা’ পান তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হলেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক এবং রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা শাসকের দফতরে এক বৈঠকে উপেনবাবু এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের বলেন। পাশপাশি বাগদা থানাকে রাজ্যের এরটি আদর্শ থানা হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। বৈঠকে পুলিশ-প্রশাসন এবং হাসপাতালগুলিকে আরও মানবিক হতে বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিনোদকুমার, মহকুমাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, বনগাঁর এসডিপিও বিমলকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়, বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস-সহ তিনটি ব্লকের আধিকারিকরা। |
|
বৈঠকে উপেন বিশ্বাস (বাঁদিকে) ও জেলার পুলিশ কর্তারা।--নিজস্ব চিত্র। |
বৈঠকের শেষে উপেনবাবু বলেন, “বনগাঁ মহকুমার ৮০ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির। সাদারণ মানুষের থানায় গিয়ে হেনস্থা হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর যাতে তা না হয় তা দেখতে হবে। ভূমিহীন, মাঝি, জেলে সম্প্রদায়ের মানুষদের থানায় বসতে দেওয়া হয় না। পুলিশকে বলেছি। এটা ঠিক নয়। সকলের সঙ্গেই সমান ব্যবহার করতে হবে। নিরপেক্ষভাবে আইনের ব্যবহার করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি এও জানান, শুধু পুলিসকে দোষ দিলে হবে না। তাঁরা যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন সেটাও দেখতে হবে। এদিন বৈঠকের পরে জেলাশাসক বিনোদকুমার বলেন, “জেলার উন্নয়নে আমরা মন্ত্রীকে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছি। উনিও নিজের চিন্তা-ভাবনা জানিয়েছেন। বলেছেন সহযোগিতা করবেন।”
পুলিশ-প্রশাসন ছাড়াও বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপেনবাবু। তিনি জানান, এই হাসপাতালের উপরে কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশপাশি তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করার উপরেও গুরুত্ব দেন তিনি। সুপারকে বলেন, “আমি মাঝেমধ্যেই চলে আসব এখানে। দেখব রোগীরা কেমন পরিষেবা পাচ্ছেন।” সুপার গোপাল দাস বলেন, “মন্ত্রী যা বলেছেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|