|
|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি ২... |
|
বুদ্ধং শরণম |
৫৮-তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। টালিগঞ্জে খরা। তাই নিয়ে ক্ষোভ। কিন্তু পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত-এর
বিস্ফোরক দাবি,
তার আগে সম্ভাব্য
প্রাপকদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে ‘কথা বলতে’ এসেছিলেন।
সাক্ষাৎকার দিলেন জাতীয় পুরস্কারের বিচারক কমিটির দু’বারের চেয়ারম্যান।
মুখোমুখি শতরূপা বসু |
পত্রিকা: রবীন্দ্রনাথের কবিতা নিয়ে ছবি করছেন?
বুদ্ধদেব: সার্ধশতবর্ষে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক কমিটিতে কয়েক জনের সঙ্গে আমি আর বন্ধু শ্যাম (বেনেগাল) ছিলাম। আমাকে ওঁরা অনুরোধ করেন, আমি কেন করছি না। শ্যামই বলল, “রবীন্দ্রনাথ তো কবিতার জন্যেই নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। সেটা নিয়ে কেন করছ না? তুমিও তো কবিতা লেখ।” তাই রবীন্দ্রনাথের ১৩টা দীর্ঘ কবিতা নিয়ে ছবি করছি। ‘বাঁশি’, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘মুক্তি’, ‘হঠাৎ দেখা’, ‘ক্যামেলিয়া’, ‘চিঠি’। একটি মলয়ালম ছবিও করছি। ভাষাটা শিখছিও সেই জন্যে। তবে আগে রবীন্দ্রনাথের ছবিটাই করব।
পত্রিকা: জাতীয় পুরস্কারে এ বার বাংলায় তো পুরো খরা...
বুদ্ধদেব: ভাল ছবি না করতে পারলে খরা তো হবেই। পুরস্কার পেতে তো সবারই ভাল লাগে। কিন্তু তার জন্যে তো ছবিটা করতে হয়। ছবি যদি সেই স্তরে না ওঠে, তা হলে তো কিছু করার নেই।
পত্রিকা: আপনি কেরলের রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি চেয়ারম্যান হিসেবে গিয়েছিলেন। এ বার তো জাতীয় পুরস্কারেও মলয়ালম ছবির জয়জয়কার...
বুদ্ধদেব: যেটা দেখলাম, বহু দিন পর মলয়ালম ছবিতে জোয়ার এসেছে। অরিবিন্দম, আদুর, শাজি করুন, এ সি জর্জ, এঁদের পর এক দল নতুন পরিচালক কাজ করছেন। এমনই এক নতুন পরিচালকের ‘আবু, দ্য সন অফ আদান’ কেরলের উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবি হয়েছে। জাতীয় পুরস্কারেও সেই ছবিটিই শ্রেষ্ঠ হয়েছিল। অভিনেতা সেলিমকুমারও শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন। অসামান্য ভাল অভিনয়। ওঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মনোনীত করার জন্য কারও প্রতি কোনও অবিচার হয়েছে বলে আমি মনে করি না। অন্য অভিনেতাদের অভিনয়ও তো
আমি দেখেছি। যে কোনও ভাল অভিনেতা এই অভিনয় দেখলে বুঝতেন, কেন সেলিমেরই পাওয়া উচিত ছিল, তাঁর নয়।
পত্রিকা: অন্য অভিনেতা বলতে?
বুদ্ধদেব: যেমন কলকাতার এক বিখ্যাত পরিচালকের অভিনয় এবং আরেক বিখ্যাত অভিনেতার ছবি দেখেছি। প্রথম জনের অভিনয় আমার ভীষণ ভাল লেগেছে। সেটা আমি লিখেওছি। ওঁকেও জানিয়েছি। সেই পরিচালক এসেওছিলেন আমার বাড়িতে ‘কথাবার্তা’ বলতে।
পত্রিকা: কী নিয়ে ‘কথাবার্তা’ বলতে?
বুদ্ধদেব: এক জন অভিনেতা স্বাভাবিক ভাবেই ভাল অভিনয়ের পর যেটা আশা করেন, সেটা হল পুরস্কার। ওঁরও ইচ্ছে ছিল, যোগ্যতাও ছিল। উনি হয়তো ভেবেছিলেন, আমি ওঁকে কোনও ভাবে সাহায্য করতে পারি। |
|
পত্রিকা: একটু ভেঙে বলবেন কী সাহায্য?
বুদ্ধদেব: এই যদি আমি কয়েক জনকে, যাঁরা ম্যাটার করেন, ফোন করে বলতে পারি, কী ভাল অভিনয় তিনি করেছেন তাঁর দু’টো ছবিতে।
পত্রিকা: কিন্তু আপনি তো এ বারের জাতীয় পুরস্কারের জুরি বোর্ডেই ছিলেন না। তা হলে আপনার কাছে কেন আসবেন?
বুদ্ধদেব: সেটাই তো বলতে চাইছি। আমি যে সাহায্য করবার জায়গায় নেই, সেটাই আমি ওঁকে বলেছিলাম। এগুলো সত্যিই কেউ করতে পারে না। আমি যে-ই হই না কেন, এগুলো করা যায় বলে আমি মনে করি না। এবং কোনও মন্ত্রীও এগুলো করতে পারেন না। তবে একটা ব্যাপার আমার খুব মজার লেগেছে।
পত্রিকা: কোন ব্যাপার?
বুদ্ধদেব: (একটু চুপ করে থেকে) আমি এই কথাগুলো বলতাম না, যদি না এ বার জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার পর কাগজে পড়তাম যে, সেই পরিচালক মন্তব্য করেছেন “কিন্তু কার জন্য সব চেয়ে খারাপ লাগছে জানিস? বুম্বা (প্রসেনজিৎ)। ও যে পরিমাণ খেটেছিল সেই পরিমাণ খাটার পর এক জন শিল্পী একটা স্বীকৃতি আশা করে কিন্তু।” সেই পরিচালক এ-ও অভিযোগ করেছিলেন যে, এ বার জাতীয় পুরস্কার ভাল হয়নি। এটা আমার কাছে খুব অদ্ভুত লেগেছে।
কারণ এই পরিচালকই, পুরস্কার ঘোষণার আগে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতার প্রেক্ষিতে আমাকে বলেছিলেন, “আমি না পাই, কিন্তু বুম্বাও যেন না পায়।” আমার সেটা খুব ছেলেমানুষি মনে হয়েছিল।
পত্রিকা: কিন্তু সেটাই বা আপনাকে বলে কী লাভ?
বুদ্ধদেব: তাই তো বলছি। আমাকে বলে তো কোনও লাভ নেই। সেটাই ওঁকে বোঝাতে চেয়েছিলাম।
|
|
পত্রিকা: কিন্তু এটাও তো শোনা যাচ্ছিল যে, সেই পরিচালক এবং অভিনেতা দু’জনেই এ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারের প্রবল দাবিদার ছিলেন ...
বুদ্ধদেব: এখানে কলকাতায় বসে আমরা যারা এই সব নিয়ে আলোচনা করি, তারা ভেবেছিলাম হয়তো এঁরা পেতে পারেন। এক জন না পান অন্য জন তো পাবেনই। কিন্তু আমি, জুরি চেয়ারম্যান ছিলাম তো বছর দু’য়েক আগে। ছবিও বানাই। এটুকু বলতে পারি, এঁরা কেউই সেলিমের অভিনয় দেখেননি। আর দেখেননি বলেই তাঁরা এই ধরনের আশা করেছিলেন।
পত্রিকা: কিন্তু যত বার বাংলা জাতীয় পুরস্কারে ভাল ফল করেছে, অন্য প্রদেশ এই একই ধরনের অভিযোগ করেছে। আপনি জুরি চেয়ারম্যান থাকার সময়ও এমন অভিযোগ উঠেছে...
বুদ্ধদেব: সে তো অভিযোগ উঠতেই পারে। কখনও হয়তো জুরির বিচারে ভুল হয়েছে। কিন্তু আমার মতে এ বারের জাতীয় পুরস্কারের বিষয়ে যে অভিযোগ এই পরিচালক করেছেন সেটা ঠিক নয়। অন্য প্রদেশে কী ধরনের কাজ হয়, সেটাও তো জানতে হবে। |
|
পত্রিকা: বলছেন, জুরির বিচারে ভুল হতে পারে। তা হলে এ বারে যে হয়নি, তাই বা আপনি হলফ করে বলছেন কী করে?
বুদ্ধদেব: যদি কারও মনে হয় পুরস্কারে গরমিল আছে, সেটাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ঠিকই। তবে এ বারে তো আমি কেরলের রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি চেয়ারম্যান ছিলাম। জাতীয় পুরস্কারের সঙ্গে কেরলের পুরস্কারের তালিকা হুবহু মিলে গেছে। নিজেও তো যে সব ছবি নিয়ে কথা উঠছে, সেগুলো দেখেছি। সুতরাং এই দাবিটা আমি করতেই পারি যে এ বারে কোনও ভুল হয়নি।
পত্রিকা: যে বার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পান, সে বার কিন্তু আপনি জুরি চেয়ারম্যান ছিলেন...
বুদ্ধদেব: মুশকিল হচ্ছে, কলকাতায় বা এ দেশে বসে আমরা ভাবি যে, অমুক মন্ত্রীকে ধরলে পুরস্কার পাওয়াও যেতে পারে, আটকেও দেওয়া যেতে পারে। হয়তো এসব হয়, কিন্তু আমি যে দু’বার ছিলাম, তখন হয়নি। তবে এক বার একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। আমার কাছে দু’জন প্রত্যেক দিনই এসএমএস পাঠাতেন। এঁরা বাংলার সমসাময়িক এক বিখ্যাত অভিনেতার খুব পরিচিত। তাঁদের বক্তব্য ছিল সেই অভিনেতাকে যদি কোনও পুরস্কার দেওয়া যায়। ভীষণ মনকষ্টে ভুগছে...এত দিন অভিনয় করছে...ইত্যাদি ইত্যাদি। সে বারে সেই অভিনেতার একটিই ছবি ছিল। মজার ব্যাপারটা হল সেই এসএমএসগুলো আমার কাছে ফরওয়ার্ড হয়ে এসেছিল। আসলে ওই বিখ্যাত অভিনেতাই এসএমএসগুলো করেছিলেন। সে বারই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মনোনীত হয়েছিলেন। অবশ্য তিনি পুরস্কার পেলেও শ্রেষ্ঠ। না পেলেও শ্রেষ্ঠ। সুতরাং তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পুরস্কার দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
পত্রিকা: কিন্তু সে বারই তো ‘দোসর’-এর জন্য প্রসেনজিৎও পুরস্কৃত হয়েছিলেন...
বুদ্ধদেব: উনি একটা সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন। ‘স্পেশ্যাল মেনশন’-এর। যেটাকে বড় জোর সান্ত্বনা পুরস্কার বলা যেতে পারে।
পত্রিকা: তা হলে ওঁকে নিয়ে পরপর দু’টো ছবি করলেন কেন?
বুদ্ধদেব: সে দু’টো ছবিতে তো খারাপ কাজ করেননি প্রসেনজিৎ। চিত্রনাট্য তেমন হলে তো আপনিই ভাল কাজ হবে। |
পত্রিকা: সমসাময়িক কোনও বাংলা ছবি দেখেছেন?
বুদ্ধদেব: ‘অটোগ্রাফ’ দেখেছি। ‘মনের মানুষ’ও দেখেছি।
পত্রিকা: কেমন লেগেছে?
বুদ্ধদেব: ‘অটোগ্রাফ’ শুনেছিলাম ‘নায়ক’-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত। উত্তমকুমারের যে ব্যক্তিত্ব বা পর্দাকে শাসন করার ক্ষমতা, প্রসেনজিতের অভিনয় আমার মনে হয়েছে ততটা হয়নি। ভাল করেছেন। কিন্তু ওইটুকুই। আসলে দু’ধরনের ছবি আছে। এক, যে ছবি শেষ হয়ে গেলেও পিছু তাড়া করে। অন্যটি হল, সেই ছবি যা হাসিয়ে, কাঁদিয়ে পর্দাতেই ফুটে ওঠে আবার পর্দাতেই মিলিয়ে যায়। ‘অটোগ্রাফ’ দ্বিতীয় পর্যায়ের ছবি। গৌতমের (ঘোষ) ‘মনের মানুষ’ও। আমার কাছে এখনও ওঁর শ্রেষ্ঠ কাজ ‘পার’। আমার ছবিতেও উনি অভিনয় করেছেন। অসম্ভব বড় মাপের অভিনেতা। কিন্তু গৌতম ‘মনের মানুষ’-এর থেকে অনেক ভাল ছবি করার যোগ্য। ওঁকে সেই জায়গায় ফিরে আসতে হবে।
|
|
|
পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে গৌতম ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ছবি করবেন। উনি জ্যোতি বসুকে নিয়েও ছবি করেছেন। আপনি কি এই রকম ছবি করবেন?
বুদ্ধদেব: না, না, না, প্রশ্নই ওঠে না (হাসি)। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে ছবি করার কথা ভাবিইনি। রবীন্দ্রনাথ ‘মহাত্মা গাঁধী’ প্রবন্ধে যা লিখেছিলেন, সেটাই বিশ্বাস করি যে রাজনীতিবিদরা একটা সম্পূর্ণ আলাদা জাত। তারা অনায়াসে মিথ্যে বলতে পারে। মানুষ ও সমাজের ক্ষতি করতে পারে। নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এমন কিছুই নেই যা করতে পারে না।
এটা আজও প্রাসঙ্গিক। আমার খুবই অবাক লেগেছে যে, আজকাল বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের কথা বলছেন না। তাঁরা দলের হয়ে কথা বলছেন। যেটা আগে দেখা যেত না। ধরা গেল, এক অঘটনে বিজেপি এসে গেল। তখন কী হবে? আমার টাক থাক, চুল থাক, আয়নার সামনে তো দাঁড়াতেই হয় মাঝে মাঝে। দু’দণ্ড চোখ রাখতেই হয় নিজের ওপর। তখন? আমি আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার কথাই বলব। আর তা না পারলে ছবিই করব না। তাই, এই সব দেখে আমার মনে হয়েছে, কী দরকার? কীসের প্রয়োজন? আরেকটা ব্যাপার লক্ষ করছি এখন, বুদ্ধিজীবী শিল্পীদের মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী মানুষের ঘনিষ্ঠ হওয়ার ভীষণ তাগিদ। ক্রাইসিসটা কোথায়? সমস্যাটা কী? |
এ বারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: বাংলার দশা |
জাতীয় সংহতি বিষয়ক সেরা ছবি: মনের মানুষ
প্রাদেশিক ক্যাটেগরিতে শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি ‘আমি আদু’ আর শ্রেষ্ঠ ইংরেজি ছবি ‘মেমরিজ ইন মার্চ’।
শ্রেষ্ঠ ছবি: আদামিন্তে মাকান আবু (মলয়ালম)
শ্রেষ্ঠ পরিচালক: ভেত্রিমারান (ছবি: আদুকালামতামিল)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: ধনুষ ও সেলিমকুমার
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী: মিতালি জগতাপ ভরদকর ও সরণ্য পোনভান্নান
|
|
পত্রিকা: কিন্তু আপনার ছবি তো কোনও দিনও বক্স অফিস হিট দেয়নি...
বুদ্ধদেব: এখন প্রযোজকদের ভূমিকা বদলেছে। তাঁরা ছবির প্রোমোশনের জন্য নানা রকম মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছেন। আমার দুর্ভাগ্য যে, ‘জানালা’র ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। মুক্তিও পেয়েছিল খুব বাজে ভাবে। অনেকেই দেখতে পাননি। সে কারণেই নিজে উদ্যোগ নিয়ে আবার ‘জানালা’র মুক্তির চেষ্টা করছি। ঋ
তুপর্ণের ‘আবহমান’ও এই একই প্রযোজকের তৈরি। একই ভাবে সাফার করেছিল মুক্তির ক্ষেত্রে।
পত্রিকা: আপনাকে হতাশ শোনাচ্ছে...
বুদ্ধদেব: হতাশ যদি বলেন বলব, মাঝে মাঝে হতাশ লাগে। সেটা বাংলা ছবির সামগ্রিক অবস্থার জন্য।
পত্রিকা: আর এই যে কয়েক জন সফল পেশাদারকে নিয়ে এত কথা বললেন...
বুদ্ধদেব: আসলে যেটা বলতে চাইছি তা হল, যে কোনও পুরস্কারকেই অযাচিত গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। আপনি এতগুলো প্রশ্ন করছেনও সেই কারণেই। কাজটা ভাল হওয়ার দরকার। ভাল চিত্রনাট্য, ভাল অভিনয়, এমন পরিচালক যিনি অভিনেতার কাছ থেকে শ্রেষ্ঠটা বের করতে পারবেন। সেটা সব সময় হচ্ছে না এখানে। এটুকুই বলতে চাইছি।
পত্রিকা: কিন্তু সে বারই তো ‘দোসর’-এর জন্য প্রসেনজিৎও পুরস্কৃত হয়েছিলেন...
বুদ্ধদেব: উনি একটা সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন। ‘স্পেশ্যাল মেনশন’-এর। যেটাকে বড় জোর সান্ত্বনা পুরস্কার বলা যেতে পারে।
পত্রিকা: বলছেন, জুরির বিচারে ভুল হতে পারে। তা হলে এ বারে যে হয়নি, তাই বা আপনি হলফ করে বলছেন কী করে?
বুদ্ধদেব: যদি কারও মনে হয় পুরস্কারে গরমিল আছে, সেটাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ঠিকই। তবে এ বারে তো আমি কেরলের রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি চেয়ারম্যান ছিলাম। জাতীয় পুরস্কারের সঙ্গে কেরলের পুরস্কারের তালিকা হুবহু মিলে গেছে। নিজেও তো যে সব ছবি নিয়ে কথা উঠছে, সেগুলো দেখেছি। সুতরাং এই দাবিটা আমি করতেই পারি যে, এ বারে কোনও ভুল হয়নি। |
|
|
|
|
|