|
|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি ১... |
|
রোশনাই |
দিনে আঠারো ঘণ্টা শু্যটিংয়ে ব্যস্ত। ‘অগ্নিপথ’ ছবির রিমেক করছেন কর্ণ জোহর। সেই ছবিতেই দাপিয়ে অভিনয়
করছেন। ইতিমধ্যে ছোট
পর্দায় তাঁর প্রথম আবির্ভাব নিয়ে টেলিভিশন দুনিয়া তোলপাড়।
এমনই ব্যস্ততার মধ্যে হৃতিক রোশন কথা বললেন ইন্দ্রনীল রায়-এর সঙ্গে |
পত্রিকা: হৃতিক, কী মনে হয়, সব কিছু কেমন যেন বদলে গেছে, তাই না? হৃতিক: মানে? কী বদলে গেছে বলতে চাইছেন আপনি? বাংলার রাজনৈতিক পালাবদলের কথা বলছেন?
পত্রিকা: না না, সে কথা বলছি না। আপনার ক্ষেত্রে এই বদলের ব্যাপারটা একদম অন্য রকম। যেমন ধরুন ২০০১ সালে আপনিই ছিলেন শাহরুখ খানের মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। আর দেখুন এই ২০১১ সালে আপনাকে দেখা যাচ্ছে সেই শাহরুখ খানের টিমকে জেতার অনুপ্রেরণা দিতে আপনি পৌঁছে যাচ্ছেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। গত দশ বছরে এটা নিশ্চয়ই বিরাট একটা পরিবর্তন, তাই না?
হৃতিক: আমি ব্যাপারটাকে এ ভাবে ঠিক ভাবিনি। ক্রিকেট ভালবাসি। শাহরুখ আর তাঁর স্ত্রী গৌরী আমাকে ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচ দেখার নিমন্ত্রণ করেছে। এই নিমন্ত্রণটা এতটাই লোভনীয় যে আমি না করতে পারিনি।
পত্রিকা: তার মানে এটাই যে, আপনাদের মধ্যে যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, সেটা এখন আর নেই। সে সব এখন শুধুই অতীত?
হৃতিক: দেখুন, আমি এটা স্বীকার করতে বাধ্য যে, শাহরুখ আর আমার সম্পর্ক গত কয়েক বছরে নানা রকম টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছে। কিন্তু আজও আমি এটা বলতে পারি না যে শাহরুখ আর আমি খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বন্ধুত্ব পাতাতে হলে একে অপরের সমান সমান হতে হয়। আমি আজও শাহরুখের সমকক্ষ নই।
|
|
পত্রিকা: আবার আপনি সেফ খেলার চেষ্টা করছেন। এটা কি আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য? প্রথম দু’বলে ছয় মেরে পরের বলটা চার মারার মতো পেয়েও ব্লক করেন...
হৃতিক: হা হা হা হা। হতে পারে, হতেই পারে আমার ব্যক্তিত্ব বা স্বভাবের বৈশিষ্ট্যই এটা। তবে আপনার প্রশ্নে ফিরি। আপনি যা বলছেন সেটা আদৌ সম্ভব নয়। কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে সারা জীবন বাঁচা যায় না। আজকে শাহরুখ আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে না। তবে হ্যাঁ, এটা আমাকে মানতেই হবে যে, শাহরুখ বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ পরিণত হয়েছে। ও একটা বিশেষ স্তরে পৌঁছে গেছে, জীবনকে উপলব্ধি করতে শিখেছে। আপনি যে সময়টার কথা বলছিলেন সেই সময়টায় যা ঘটেছিল তাতে আমাদের কারওরই কোনও দোষ ছিল না। আমারও নয়, শাহরুখেরও নয়। দু’জনেই সেই অধ্যায় পেরিয়ে এসেছি। আজ আমার বৌ আর শাহরুখের বৌ প্রচণ্ড বন্ধু।
পত্রিকা: তা হলে কি এটা বলা যায় যে, স্ত্রীরাই আপনাদের সম্পর্ককে সহজ করে দিয়েছেন?
হৃতিক: (হাসি) মানে এই সাক্ষাৎকারটা আসলে শাহরুখের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে, তাই তো?
পত্রিকা: না না, তা কেন হবে? অন্য প্রসঙ্গে আসি। বলুন তো, আপনি নিজেকে এত আড়ালে রাখেন কেন?
হৃতিক: খুব যে সচেতন ভাবে আমি এ রকম করি, তা কিন্তু নয়। কাজ করে চলেছি নিয়মিত। ‘অগ্নিপথ’-এর একটা শিডিউলের কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। এখন টেলিভিশন শো ‘জাস্ট ডান্স’ নিয়ে ব্যস্ত। দেখুন, আমার ট্যালেন্টটা একটু কম। তাই অন্য স্টারদের মতো বেশি বেশি কাজ করতে পারি না। ইনফ্যাক্ট, যারা তিন-চারটে ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে, প্রচারমাধ্যমে যাদের মুখ নিয়মিত দেখা যায়, তাদের আমি হিংসেই করি। আমি এত কিছু করতেই পারব না।
পত্রিকা: হৃতিক, এটা বেশি বিনয় হয়ে গেল না?
হৃতিক: এটা বিনয়ের ব্যাপার নয়। সততার প্রশ্ন। আমি বিশ্বাস করি আমার ট্যালেন্ট কম। |
|
পত্রিকা: আচ্ছা, নিজেকে লুকিয়ে রেখে, প্রচারের আলোয় না থেকে আপনি তো আপনার অনুরাগীদের এক ধরনের বঞ্চিতই করছেন। সেই কবে দর্শকেরা ‘ধুম’ ছবিতে আপনাকে দেখেছিল, তার অনেক দিন পরে আপনাকে দেখল ‘জোধা আকবর’-এ। তার পর ফের উধাও। তার পর ‘গুজারিশ’। এত কম কাজ করেন কেন?
হৃতিক: হ্যাঁ, আমার অনুরাগীরা অনেক দিন ধরে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। জানি এটা আমারই দোষ। তাই এই বছরের গোড়ায় শপথও নিয়েছিলাম যে, আরও বেশি বেশি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ব। কিন্তু ওই যে বললাম, আমার ট্যালেন্ট কম। তবু চেষ্টা করছি একাধিক কাজ একসঙ্গে করার (হাসি)।
পত্রিকা: আগের বার যখন সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম আপনি বলেছিলেন, টেলিভিশন জগতে ঢুকে পড়ার মানসিক প্রস্তুতি এখনও হয়নি। হঠাৎ কী হল মাঝখানে যে মনটা এত বদলে গেল?
হৃতিক: আজও ছোট পর্দার দুনিয়ায় ঢোকার ক্ষেত্রে আমার মানসিক প্রস্তুতি কতটা জানি না। তবে ‘জাস্ট ডান্স’-এর ফর্ম্যাটটা আমাকে উৎসাহিত করল। যখন জানলাম যে এই শোয়ে শুধু দেশের নয় বিদেশের শিল্পীদেরও বিচারক হব আমি। |
|
পত্রিকা: আপনি যে ধরনের খুঁতখুঁতে মানুষ, নিশ্চয়ই অনেক সময় নিয়েছিলেন টেলিভিশনের কাজটা শুরু করার আগে?
হৃতিক: না, তেমনটা এ বার হয়নি। স্টার প্লাস কর্তৃপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে শো সম্পর্কে খুঁটিয়ে বলার দু’মিনিটের মধ্যে ওঁদের হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম।
পত্রিকা: মাত্র দু’মিনিটের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে কাজ করার ব্যাপারে রাজি হয়ে গেলেন? এটা কি সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য। শোনা যায় যে, কোনও কাজ নিয়ে ভাবতেই আপনার মাসের পর মাস কেটে যায়?
হৃতিক: না, তা নয়। আমার কী হয় বলি। যখন কোনও চিত্রনাট্য শুনি, যদি সেটা এক বার মনে ধরে যায় তো আমার হ্যাঁ বলতে পাঁচ মিনিটের বেশি লাগে না। কিন্তু চিত্রনাট্য পড়ে যদি কোনও কারণে মন খুঁত খুঁত করে, তখন আমার মাসের পর মাসও লেগে যেতে পারে। আমি নিজেও জানি না, একটা চিত্রনাট্য থেকে আমি কী আশা করি। আমি জাস্ট ইন্সটিঙ্কটের ওপর ভর করে কাজে রাজি হই। বলতে পারেন, ‘সিক্সথ সেন্স’ লাগিয়ে কাজ বাছি। যেমন ধরুন, ‘জাস্ট ডান্স’-এর জন্য রাজি হয়ে গেলাম আমার ইন্সটিঙ্কট থেকে। মনে হল, এক বার চেষ্টা করলে কেমন হয়?
পত্রিকা: টাকাটাও তো একটা বড় ব্যাপার ছিল...
হৃতিক: (হাসি) সেই আলোচনায় আমরা না-ই বা ঢুকলাম।
পত্রিকা: আচ্ছা একটা কথা বলি, ‘কাইটস’-এর ব্যর্থতা আপনাকে কতটা হতাশ করেছিল? নিন্দুকেরা বলে, ছবি ফ্লপ করায় আপনি চরম মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন?
হৃতিক: না, তেমন কিছু আদৌ ঘটেনি। বরং এটা বলা যায়, ছবিটা ফ্লপ করার মাধ্যমে আমি আর বাবা একটা বড় শিক্ষা পেয়েছি। আমরা এটা বুঝেছি যে, ভারতের আমদর্শক যাঁরা সিনেমা দেখেন তাঁরা ইংরেজি বলা নায়ক পছন্দ করেন না। সেই নায়কের সঙ্গে মানসিক সংযোগ গড়তে পারেন না। ‘কাইটস’-এর অনেকটা জায়গা জুড়ে নায়ক ইংরেজিতে কথা বলে। এই ছবিটা করে বুঝেছি, আমরা দর্শককে বিরাট ভাবে বিচ্ছিন্ন করেছি। এটা আমার আর বাবার কাছে একটা বিশাল শিক্ষা।
পত্রিকা: কিন্তু ‘কাইটস’ নিয়ে তো আপনার বিরাট একটা আশা ছিল। এ-ও শোনা গিয়েছিল, রোশন পরিবারের লোকজনেরা মনে করেছিলেন, এই ছবিটার মাধ্যমে বিশ্বচলচ্চিত্রের মঞ্চে হলিউড নায়কদের পাশে আপনি হৃতিক রোশন জায়গা করে নেবেন।
হৃতিক: দেখুন ‘কাইটস’ কিন্তু শুধু আমরা হলিউডের কথা ভেবে বানাইনি। রোশন পরিবারের ভাবনাচিন্তা নিয়ে যা রটেছে তা ভুল।
|
পত্রিকা: তা হলে কি হলিউড নিয়ে স্বপ্ন দেখাটা ছেড়েই দিলেন?
হৃতিক: হলিউডের ছবিতে কাজ করব কী করব না সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার। প্রত্যেক দিন আমার কাছে হলিউড থেকে অফার আসে। হলিউডের বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক আমাকে নিয়ে ছবি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। মাস দুয়েকের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হবে আমেরিকায়। তবে হলিউড থেকে এখনও পর্যন্ত আমাকে উৎসাহিত করার মতো চিত্রনাট্য পাইনি। ক্যায়া মালুম, স্ক্রিপ্ট মে ম্যায় ক্যায়া ঢুন্ডতে রহেতা হু। (হাসি)
পত্রিকা: আর সঞ্জয় লীলা বনশালির সঙ্গে আপনার শেষ ছবি ‘গুজারিশ’? তার ব্যর্থতা থেকে কি শিখলেন আপনি?
হৃতিক: এটা হয়তো অদ্ভুত শোনাবে কিন্তু সত্যি বলছি, এ ছবি থেকেও শিখেছি, একটা মূলস্রোতের বাইরের ছবিতে আশি কোটি, নব্বই কোটি টাকা বিনিয়োগ করা উচিত নয়। কারণ ছবি যদি ফ্লপ করে তা হলে বিশাল টাকা লোকসান হয়ে যায়। ভিন্ন স্বাদের ছবি সব সময়ই হওয়া উচিত অল্প বাজেটে। ‘গুজারিশ’ থেকে সিনেমার অর্থনীতির মূল সূত্রগুলো শিখেছি। তবু বলব ‘গুজারিশ’ আমাকে আমার কেরিয়ারের শীর্ষবিন্দুতে নিয়ে গিয়েছিল। এ ছবিতে আমি অভিনয়ের শীর্ষ সীমায় পৌঁছতে পেরেছি। এবং দর্শক সমাজের কাছে যে ভালবাসা ও সম্মান পেয়েছি তা অতুলনীয়।
|
|
|
পত্রিকা: এটা তো অদ্ভুত। আমি তো জানতাম ‘কহো না প্যার হ্যায়’ আপনাকে খ্যাতি আর ভালবাসার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। এতটাই যে হৃতিক-পরবর্তী সব নায়কের কাছে মাপকাঠি হয়ে গেছে আপনার সেই সময়ের স্টারডম...
হৃতিক: হ্যাঁ, ‘কহো না প্যার হ্যায়’ আমাকে প্রচুর ভালবাসা দিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু সারপ্রাইজ এলিমেন্টও ছিল। মানুষ ভাবতেই পারেনি, এত কম বয়সী এক জন শুধু একটা ডাবল রোলই করল না, একটা গোটা ছবিকে একার কাঁধে বইল। সেই ভালবাসাটা অন্য রকম ছিল। আর ‘গুজারিশ’-এর জন্য আমি ভালবাসার সঙ্গে সম্মানও পাচ্ছি।
পত্রিকা: আপনি তো এখন ‘অগ্নিপথ’ করছেন। নিশ্চয়ই এটা বুঝতে পারছেন যে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে আপনার অভিনয়ের তুলনা হবেই।
হৃতিক: ও হ্যা। এমনটা তো হবেই। কিন্তু এই সব তুলনা নিয়ে আদৌ আমি ভাবছি না। যখন আমি ‘জোধা আকবর’ করি তখনও অনেকে আমাকে ফোন করে সে ছবি করতে মানা করেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল আকবরের চরিত্র করার মতো ম্যাচিওরিটি নাকি আমার নেই। আর দ্বিতীয়ত আকবর চরিত্রে এর আগে অভিনয় করে গেছেন পৃথ্বীরাজ কপূর। সেটাও একটা রিস্ক ছিল, কিন্তু আমি ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম। ছবিটা করেছিলাম ইন্সটিঙ্কট থেকে। ‘অগ্নিপথ’-এও সেই সহজাত অনুমানই কাজ করছে।
পত্রিকা: শাহরুখের কথায় আসি। সাক্ষাৎকারের গোড়ায় আপনি বলেছেন যে, শাহরুখের সঙ্গে আপনার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। আপনার কি মনে হয়, শাহরুখও আপনার ব্যাপারে এমনটাই ভাবেন?
হৃতিক: তাই তো মনে হয়। এটা মনে রাখবেন যে, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী নই ঠিকই, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে টক্কর দিতে আমার সমস্যা নেই। এবং আমি বরাবর বলে এসেছি টক্করের জায়গায় শাহরুখের থেকে ভাল আর কেউ নেই। সে কারণেই ও আমার সব চেয়ে পছন্দের কো-স্টার। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে ও কিন্তু আমার সিনটা চুরি করবে না, বরং সিনটা আরও ভাল করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর নেবে। আপনি যদি ভাল অভিনেতা হন, আপনি বুঝবেন ও কী করতে চাইছে। ও এতটাই বুদ্ধিমান যে, ও বোঝে, আমি যদি একটা ভাল সিন করি, ওকেও ওর অভিনয়ের মানটা বাড়াতে হবে। তাতে শেষ বিচারে ছবিটারই লাভ হবে।
পত্রিকা: শাহরুখ আপনার প্রিয় কো-স্টার মানলাম। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি মনে করে, মানসিকতায় আপনি অনেক বেশি আমিরের কাছাকাছি। দু’জনেই লো-প্রোফাইলে থাকেন, মিডিয়াকে এড়িয়ে চলেন, মাসের পর মাস লাগিয়ে দেন একটা ডিসিশন নিতে...
হৃতিক: দাঁড়ান, দাঁড়ান। আমার সঙ্গে আমিরের তুলনা করবেন না। উনি অসম্ভব এক জন অভিজ্ঞ শিল্পী। কোনও কাজে আমির খান যতটা মনঃসংযোগ করতে পারেন, তার দশ ভাগের এক ভাগও আমি করতে পারি না। |
|
পত্রিকা: হৃতিক, দিনকে দিন আপনার বিনয়টা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছচ্ছে যে আর কিছু দিন বাদে আপনাকে হৃতিক ‘বিনয়’ রোশন বলে ডাকতে হবে।
হৃতিক: না না, সত্যি বলছি। আমির খান হলেন নিখাদ অভিনেতা। আমি তা এখনও নই। ছবি করতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার অন্যতম কারণ আমি অক্ষমতার জায়গাগুলো লুকোতে চাই। আমিরের সেই সমস্যাটাই নেই।
পত্রিকা: অতঃপর এই কথোপকথন থেকে একটা কথা আরও জোরদার ভাবে বেরিয়ে এল যে আপনি কতটা বিনয়ী। এর পর হয়তো বলবেন নাচের ক্ষেত্রেও আপনি খুব দুর্বল।
হৃতিক: হ্যাঁ, দুর্বল তো বটেই। কেন এটা বলছি জানেন। আমি সহজাত নাচিয়ে নই। আমাকে একটা নাচের ‘মুভ’-এর জন্য সাঙ্ঘাতিক প্র্যাক্টিস করতে হয়। তবে হ্যাঁ, আমাকে নাচলে খুব সুন্দর দেখায় সেটা আমি জানি। তার কারণ আমার শারীরিক গড়ন অ্যাথলিটিক। অভিনেতা বলে নাচের সময় আমার অভিব্যক্তি অন্যদের চেয়ে ভাল হয় বলেই মনে হয়। নাচলে সুন্দর দেখায় বলেই এই নয় যে আমি ভাল নাচিয়ে।
পত্রিকা: নিজের নাচের দক্ষতাকে দশে তা হলে কত দেবেন?
হৃতিক: নিজেকে বিচার করতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি, ভারতের এক হাজার নৃত্যশিল্পীর মধ্যেও আমার নাম আসে না।
পত্রিকা: ধন্যবাদ হৃতিক ‘মডেস্ট’ রোশন।
হৃতিক: কী যে বলছেন!! আপনার সংবাদপত্র যে ভাষায় ছাপা হয়, সেটা আমার দিদা ইরা রোশনেরও মাতৃভাষা। বাংলা ভাষা আর বাঙালি তাই আমার কাছে খুব প্রিয়। আপনি আরও সময় নিতে পারতেন, আমি ম্যানেজ করে
নিতাম। |
|
|
|
|
|