|
|
|
|
বৈঠকে তৈরি রূপরেখা |
মাদুর ও ফুল প্রকল্পে জটিলতা কাটার আশা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মেদিনীপুর |
সবংয়ের মাদুর ও ডেবরার ফুল প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে জটিলতা এ বার কাটবে বলে আশাবাদী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে বুধবার একটি বৈঠকও হয়। যেখানে জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, প্রকল্প আধিকারিক উত্তম পাত্র ও স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণে জোর দেওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত হন। কী ভাবে তা করা হবে, এ নিয়ে একটি রূপরেখাও তৈরি করা হয়। জেলা প্রকল্প আধিকারিক উত্তম পাত্র বলেন, “বৈঠকে সকলেই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, এ বার প্রকল্প রূপায়ণে আর বেশি দেরি হবে না।”
সবংয়ের মাদুর শিল্পের আধুনিকীকরণ প্রকল্পের সব থেকে বড় জটিলতা ছিল জমি নিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ মিলে রুইনানে ৪ একর ৩৭ ডেসিমেল জমি কিনেছে। পঞ্চায়েত সমিতির নামেই সেই জমি কেনা হয়। কিন্তু সেই চাষ জমির মিউটেশন বা কনভারসন হয়নি। ওই জমিতে শিল্প করতে হলে জমির চরিত্র পরিবর্তন খুবই জরুরি। দ্রুত সেই চরিত্র পরিবর্তন করতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক। সবংয়ের প্রকল্প শুরুর আগেই ৩ হাজার জনকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি-জটে প্রকল্প রূপায়ণে ঢের দেরি হয়েছে। প্রাথমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা অনেকেই যা শিখেছিলেন, তা ইতিমধ্যে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ফের গ্রাম পঞ্চায়েত-স্তরেই নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বসহায়ক দলের যে মহিলারা প্রশিক্ষণ-পর্বে সবচেয়ে ভাল কাজ করবেন তাঁদের মূল-প্রকল্পে বিশেষ শিল্পী হিসাবে নিয়োগ করা হবে।
ডেবরার ফুল-প্রকল্পও দ্রুত রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোন পথে তা করতে হবে সেই পরামর্শও দিয়েছেন জেলাশাসক। প্রকল্প আধিকারিক জানান, সামনের সপ্তাহেই ব্লকে গিয়েও বৈঠক করা হবে। প্রস্তাবিত এলাকাও ঘুরে দেখা হবে। সেই সঙ্গে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করা হবে। বিশেষ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, কমিটির প্রত্যেককেই সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে সকলেই রাজি হয়েছেন বলেও প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে। জানিয়েছে। ডেবরার ফুলচাষি ও সবংয়ের মাদুর-শিল্পীরা এ বার উপকৃত হবেন বলেই আশা প্রশাসনিক কর্তাদের। |
|
|
|
|