|
|
|
|
পূর্বেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²ভগবানপুর ও হলদিয়া |
অস্ত্র উদ্ধার থেকে রাজনৈতিক হিংসা, পশ্চিম মেদিনীপুরে গোলমাল চলছে নিত্য। পূর্ব মেদিনীপুরেও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়েছে।
জমির মালিক তিনি কি না, তা প্রশ্নাতীত নয়। অথচ সেই জমিরই দখল নিতে এসে সেখানে বসবাসকারী লোকজনের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। ভগবানপুরের এই ঘটনায় ১১টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে বাসিন্দাদের। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মাজেদ সদলবলে গিয়ে ওই ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তাদের বাধা দিতে গিয়ে জখম হন জনা দশেক পুরুষ ও মহিলা। থানা থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে তফসিলি অধ্যুষিত পাড়ায় এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের তরফে কালিপদ রুইদাস থানা ও বিডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, ভগবানপুর ও কেঁউদিয়া মৌজার ওই জমিতে কয়েক পুরুষ ধরে বসবাস করছেন তাঁরা। যদিও শেখ মাজেদ ওই জমি তাঁর বলে দাবি করেছেন। বিডিও হরিহর বালা বলেন, “ওই জমি শেখ মাজেদের মালিকানাধীন হলে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে তিনি প্রমাণ নিয়ে প্রশাসনের সাহায্য চাইতে পারতেন।” আপাতত ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল ও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে।
এ দিকে, হলদিয়ায় ব্যক্তিগত বচসাতেও জড়াল রাজনীতি। টাউনশিপের বিষ্ণুরামচকে শুক্রবার ভোররাতের এই ঘটনায় সিপিএমের শাখা কমিটির সদস্য আলেম খান-সহ কয়েক জন জখম হন। আলেমকে দুর্গাচক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূল সদস্য শেখ জাকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে হলদিয়া মহকুমা আদালত। এসডিপিও (হলদিয়া) সলিল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “পুরনো বিবাদের জেরেই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওই সিপিএম নেতার উপর হামলা হয়েছে।” তবে সিপিএমের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বিষ্ণুরামচকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। এ দিন ভোররাতে শেখ জাকির চড়াও হয় আলেমের উপর। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। |
|
|
|
|