|
|
|
|
জুনেই শেষ হস্টেলের কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মেদিনীপুর |
চলতি মাসের মধ্যেই জেলার আদিবাসী ছাত্রাবাসগুলির নির্মাণ-কাজ শেষ করতে তৎপর হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে দ্রুত নির্মাণ-কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি)-এতে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর এই বছর ১০টি স্কুলে নতুন করে হস্টেল নির্মাণ করছে। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্যই এই হস্টেল। হস্টেল পিছু ৩৬ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে প্রশাসন। সম্প্রতি এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে ভিডিও সম্মেলন করেন উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। সেখানেই অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী নির্দেশ দেন, দ্রুত হস্টেল নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। তার পরেই স্থির হয়েছে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্র। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আইএপি-এতে এমন কাজ করতে হবে যা চোখে দেখা যায়। সেই মতো পরিকল্পনা তৈরি হয়, যা রূপায়ণে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর কাজ করছে। তার মধ্যে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর ১০টি আদিবাসী হস্টেল, লোধাদের জন্য ২০টি বাড়ি, ১৩টি শস্যগোলা নির্মাণ করছে। জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ আধিকারিক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, “৩০ জুনের মধ্যেই হস্টেল নির্মাণ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা চাই ১ জুলাই থেকেই যাতে ছাত্রছাত্রীরা হস্টেলে থাকতে পারে।” লোধাদের জন্য ১০টি বাড়ির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। বাকি ১০টি বাড়ি যাতে ১৫ জুনের মধ্যে শেষ করা যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। অন্য দিকে, ১৩টি শস্যগোলা নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় ল্যাম্পসগুলিকে। ৬টির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রতিটি শস্যগোলার জন্য ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে।
দ্রুত কাজ শেষ করে খরচের হিসেব দিতে পারলেই পরের ধাপের টাকা পাওয়া যাবে। সেই টাকায় ফের উন্নয়নের কাজ করা যাবে। তাই অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের লক্ষ্য, প্রতিটি আদিবাসী এলাকায় পানীয় জল, সেচের ব্যবস্থা, আশ্রম হস্টেল ও স্কুল হস্টেলের উন্নয়ন, প্রতিটি গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করা। এ প্রসঙ্গে জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, “আমরা দ্রুত গতিতে প্রকল্প রূপায়ণের চেষ্টা চালাচ্ছি।” |
|
|
|
|