|
|
|
|
পুলিশে রদবদল, জোর পরিকাঠমো উন্নয়নেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²তমলুক ও হলদিয়া |
রাজ্যে পালাবদলের পর রদবদল শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশে। নন্দীগ্রাম থানার ওসি অশোক মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে জেলা পুলিশের গোয়ান্দা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। হলদিয়ার দুর্গাচক থানার ওসি রাজা মুখোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামের নতুন ওসি করা হয়েছে। ওসি-বদল হয়েছে খেজুরি থানাতেও। মহিষাদল থানার ওসি সোমনাথ দত্তকে খেজুরি থানার নতুন ওসি করা হয়েছে। খেজুরি থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাসকে প্রাথমিক ভাবে তমলুকে পাঠানো হয়েছে। মহিষাদলের নতুন ওসি হয়েছেন শ্যামল রায়। রামনগর থানার ওসি চম্পক চৌধুরী দুর্গাচকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। তমলুকের ওসি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে রামনগরে। সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়েও ব্যাপক রদবদল হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার কে জয়রামন জানিয়েছেন, ওসি, এসআই ছাড়াও কনস্টেবল পর্যায়েও রদবদল হচ্ছে।
পুলিশ সুপার জেলা পুলিশের পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। জয়রামন জানান, জেলায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা এই মুহূর্তে মাত্র ৭০ জন। এত অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে বহু রাস্তাতেই সব সময়ে ট্রাফিক সামলানো সম্ভব হয় না। দু’-দু’টি জাতীয় সড়ক ৬ ও ৪১ নম্বর জেলার মধ্যে পড়লেও হাইওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের পদটিও দীর্ঘ দিন খালি পড়ে রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশকর্মীর অভাবেই হলদিয়ায় অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থাও চালু করা যাচ্ছে না। শুধু হলদিয়ার ৬টি পয়েন্টের জন্যই ৯০ জন ট্রাফিক পুলিশকর্মী দরকার। প্রয়োজনের বিষয়টি রাজ্যস্তরে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
উপকূলে তল্লাশির ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এই জেলায় ৬টি স্পিডবোট এসেছে উপকূলে তল্লাশির জন্য। এর মধ্যে ৪টি হলদিয়ায় এবং দু’টি রয়েছে দিঘায়। জেটি পয়েন্ট তৈরি না-হওয়া এবং দক্ষ চালক না-পাওয়ার সমস্যা রয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের বক্তব্য। উপকূলের একাধিক এলাকায় থানা বা ফাঁড়ি চালুর কথা থাকলেও এখনও না-হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়েও নতুন রাজ্য সরকারকে অবহিত করেছে জেলা পুলিশ।
তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বেশ কিছু সমস্যা থাকলেও ধীরে ধীরে নতুন জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশি-পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে। মহিষাদল থানার অন্তর্গত গেঁওখালি, সুতাহাটা থানার কুকড়াহাটিতে নতুন ফাঁড়ি চালু হয়েছে, ভবানীপুর থানার নতুন ভবন ও হলদিয়া পুলিশ-লাইনের জন্য হলদিয়া পুর-এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ একর জায়গা মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। |
|
|
|
|