কার্ডিওলজি বিভাগের রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসারের বক্তব্য, “বছরের পর বছর এ ভাবেই চলছে। এসএসকেএম হাসপাতালে এমনিতেই রোগীর চাপ অনেক বেশি। তাই ক্যাশ কাউন্টার আরও বাড়ানো দরকার।” ক্যাশ কাউন্টারে কর্মরত এক কর্মী বলেন, “তিনটি কাউন্টারে মোট ৭ জন কর্মী। ২৪ ঘণ্টাই কাউন্টার খোলা রাখতে হয়। রোটেশন ডিউটি। এত কম লোকে কী করে সম্ভব? সে কারণেই কখনও কখনও মাত্র দুটো চলে। লাইনও বেড়ে যায়।” ক্যাশ কাউন্টারের কর্মীদের বক্তব্য, “রোগীর এই দুর্ভোগের কথা হাসপাতাল প্রশাসনের কর্তারা সবই জানেন। কিন্তু তাঁদের ঘুম ভাঙছে না।” তাঁদের মুখেই শোনা গেল, ২০০৯ সাল থেকে এই সমস্যা বেড়েছে। বার বার কাউন্টারে লোক দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভুগছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষজন।
ধুপগুড়ির উজ্জ্বলবাবু সংবাদপত্রে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা হাসপাতাল সফর। তাঁর বক্তব্য, “রেলমন্ত্রী হিসেবে মানুষের সুবিধায় চারি দিকে রেলের কাউন্টার খুলেছেন। এ বার এসএসকেএমের ক্যাশ কাউন্টারের সমস্যা নিশ্চয় তাঁর নজর পড়বে।”
ক্যাশ কাউন্টারে লম্বা লাইন পড়ার বিষয়টি হাসপাতাল প্রশাসনও ভাল ভাবেই জানেন। এ বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ডেপুটি সুপার দিলীপকুমার ঝা বলেন, “কর্মীর অভাবেই কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো যায়নি। ওই কাউন্টার তো বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে দিয়ে চালানো যায় না। তাই কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |