|
|
|
|
বিশ্রী সার্ভিসের মাশুল দিলেন সানিয়ারা |
সংবাদসংস্থা ²প্যারিস |
জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম মিক্সড ডাবলস ফাইনালের পরিণতিই ঘটল সানিয়া মির্জার, জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ডাবলস ফাইনালেপ্রত্যাশা আর টেনশনের চাপে ভেঙে পড়ে স্ট্রেট সেটে হার! শুক্রবার ফরাসি ওপেনে মেয়েদের ডাবলস ফাইনালে সপ্তম বাছাই সানিয়া-ভেসনিনার ইন্দো-রুশ জুটিকে ৮১ মিনিটের একপেশে লড়াইয়ে ৪-৬, ৩-৬ হারিয়ে কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব পেলেন অবাছাই চেক জুটি হ্লাভাকোভা-হ্রাদিকা।
তিন বছর একসঙ্গে খেলছেন পেশাদার ট্যুরে। বোঝাপড়া অনেক ভাল, মাত্র চার মাস একসঙ্গে জুটি বাঁধা সানিয়া-ভেসনিনার তুলনায়। গ্র্যান্ড স্লাম ডাবলসে কোথাও কখনও কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি ডিঙোতে না-পারা অনামী চেক জুটি সানিয়াদের বিরুদ্ধে বাজিমাত করলেন কোর্টে বোঝাপড়ার জোরেই। মহেশ ভূপতিকে পার্টনার নিয়ে ২০০৮ অস্ট্রেলীয় ওপেন মিক্সড ডাবলস ফাইনালে হারের পরের বছরই মেলবোর্ন থেকেই জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব পেয়েছিলেন সানিয়া। একই পার্টনারকে নিয়ে। এখন দেখার রোলাঁ গারোয় পরের বছর ভেসনিনা-ই সানিয়ার ডাবলস পার্টনার থাকেন কি না। |
|
রোঁলা গারোয় সানিয়া-ভেসনিনা। -এপি। |
ক্লে কোর্টে খেলে বেড়ে ওঠেননি। কিন্তু প্যারিসের মন্থর লাল মাটিতে এমন এক জনকে সঙ্গী পেয়েছিলেন সানিয়া, যিনি দু’বছর আগেই ফরাসি ওপেনে মেয়েদের ডাবলস ফাইনাল খেলেছেন। আজারেঙ্কাকে নিয়ে এখানে ডাবলস ফাইনাল খেলা ছাড়াও গত বছর জোনারেভার সঙ্গে উইম্বলডন ডাবলস ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল ভেসনিনার। সানিয়ার আবার পকেটে ছিল গ্র্যান্ড স্লাম খেতাবের অভিজ্ঞতা। কিন্তু কোনও অভিজ্ঞতাই কাজে এল না অবাছাই চেক জুটির এ বারের রোলাঁ গারোয় অবিশ্বাস্য ফর্ম আর ধারাবাহিকতার কাছে। গোটা ম্যাচে ভেসনিনা আর সানিয়া দু’জনেই বিশ্রী সার্ভ করলেন। দু’সেট মিলিয়ে পাঁচ বার সার্ভিস নষ্ট হল। সানিয়ার দু’বার, ভেসনিনার তিন বার। দ্বিতীয় সেটের নবম গেমে ভেসনিনার সার্ভিস নষ্টের জেরেই অনায়াসে ম্যাচ বার করে নিলেন চেক জুটি। প্রথম সেটে ১-৫, ০-৪০ পিছিয়ে থেকে সানিয়ার সার্ভিসে তিন বার সেট পয়েন্ট বাঁচিয়ে ওই গেম জিতে ইন্দো-রুশ জুটি ২-৫ করাতে মনে হয়েছিল, সানিয়ারা ঘুরে দাঁড়ালেন। কিন্তু বাস্তবে সানিয়ারা জ্বলে ওঠার বদলে নিভেই গেলেন।
চার জনই সমবয়সি। চব্বিশের আশেপাশে। চার জনই বিগ হিটার। কিন্তু চার জনের মধ্যে সানিয়ার সার্ভিসই দুর্বলতম। প্রতিপক্ষরা যখন নাগাড়ে ১৭৫-১৮০ কিলোমিটারে সার্ভিস করছেন, সানিয়ার সেখানে প্রথম সার্ভই ১২৫-১৩০ কিমি-তে! যতই ডাবলসে অর্ধেক কোর্টে খেলতে হোক না কেন। যতই ডাবলসে কোর্টে বেশি নড়াচড়া করতে হয় না বলে সারফেসের তারতম্য বড় ফ্যাক্টর না-হোক কেন। যতই ডাবলসে ডান দিকের কোর্টে খেলার জন্য সানিয়ার ভয়ঙ্কর ফোরহ্যান্ডের বাড়তি সুবিধা থাক না কেন। আসল সময়ে, সত্যিকারের বিগ ম্যাচে সানিয়া-ম্যাজিক কোনও কাজই করল না! নিটফলভারতীয় মেয়েদের টেনিসে ইতিহাস তৈরি হতে হতেও হল না। |
|
|
|
|
|