|
|
|
|
দুই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রদবদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² দাঁতন |
রাজ্যে পালাবদলের সূত্রেই পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দাঁতনের দু’টি পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত দু’টি হল দাঁতন-১ ব্লকের মনোহরপুর ও দাঁতন-২ ব্লকের সাবড়া।
মনোহরপুর পঞ্চায়েতে ১২টির মধ্যে বাম ও ডান জোট সমসংখ্যক আসনে জিতেছিল। সিপিএম ৫, সিপিআই ১, তৃণমূল ৪, তৃণমূল সমর্থিত নির্দল ১ ও বিজেপি ১টি আসন পায়। টসে জিতে প্রধান পদ পায় সিপিএম, উপপ্রধান হন তৃণমূলের। ২০০৯ সালে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। তবে পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এ বার সিপিএমের প্রধান অমিতাভ জানা নিজেই পদত্যাগ করেছেন। ফলে, প্রধান পদ দখলে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাম শিবিরে। বিডিও তিলকমৌলি রক্ষিত বলেন, “প্রধানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। পারিবারিক কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে।” তৃণমল শিবির এই অবস্থায় পঞ্চায়েত দখলের আশা করছে।
অন্য দিকে, সিপিএম ও সিপিআই পরিচালিত সাবড়া পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান জাহাঙ্গির খানের বিরুদ্ধে গত ২৪ মে অনাস্থা আনে তৃণমূল। ১৪ সদস্য বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে সিপিএম ৭, সিপিআই ২, তৃণমূল ৫টি আসনে জিতেছে। শুক্রবার তলবি সভা ডেকেছিলেন বিডিও ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী। সেখানে ৯-০ জিতেছে তৃণমূলই। ফলে এই পঞ্চায়েতটিও তৃণমূলের দখলে এল। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শৈবাল গিরির দাবি, সিপিএমের ৩ জন ও সিপিআইয়ের এক জন তাঁদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সিপিএমের বিদায়ী প্রধান জাহাঙ্গির খান ও দলের দাঁতন-২ জোনাল কমিটির সম্পাদক আব্দুল করিমের অবশ্য অভিযোগ, “তৃণমূল ভয় দেখিয়ে কয়েক জনের সমর্থন আদায় করেছে।” |
|
|
|
|