|
|
|
|
তপন খুনে চাঁই কে, হাতড়াচ্ছে সিআইডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কলকাতা |
বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্তের হত্যাকাণ্ডে ধৃত দুই যুবক বাবন ওরফে সুভাষ ভৌমিক ও শ্বেতী বাপি ওরফে কার্তিক দাসকে শুক্রবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১২ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ৬ মে রাতে বালি লেভেল ক্রসিংয়ের সামনে তপনবাবুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। বাবন ও শ্বেতী বাপি তাদের মধ্যে ছিল বলে তদন্তকারীরা জানান। শুক্রবার বিকেলে হুগলির রিষড়ায় বাবনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ওই রাতেই বেলুড়ে ধরা পড়ে বাপি। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। সিআইডির তদন্তকারীরা জানান, ওই তৃণমূল নেতা খুনের পিছনে জমির দালালির বখরা এবং জমি ভরাটকে কেন্দ্র করে কোনও গণ্ডগোল ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত দুই দুষ্কৃতী জমি দালালি ও ভরাটের কাজে যুক্ত ছিল। বাবনের মতন শ্বেতী বাপিও বালি-দুর্গাপুর এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর শাগরেদ হিসেবেই কাজ করত। তবে তপন-হত্যার পিছনে আরও বড় কোনও মাথা আছে বলেই সিআইডি-র সন্দেহ। সেই চাঁই কে বা কারা, সেটাই খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশি সূত্রের খবর, বছর চারেক আগে বালির শান্তিনগরে তৃণমূলের অফিসের সামনে তপনবাবুর ভাই বিজয়কৃষ্ণ দত্ত ওরফে বিজুকে গুলি করে মেরেছিল কয়েক জন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল বাবন। শ্বেতী বাপি সেই ঘটনায় প্রথমে সাক্ষী থাকলেও পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভাইয়ের খুনের ঘটনায় বিশেষ সাক্ষী ছিলেন তপনবাবু। বিজু-হত্যা মামলায় বাবন ও শ্বেতী বাপি দু’জনেই প্রায় এক বছর জেল খাটে। ২০০৮ সালে তারা জামিনে ছাড়া পায়। তার কয়েক মাসের মধ্যেই বাবনকে গাঁজা পাচার, তোলাবাজি এবং ডাকাতির অভিযোগ ফের গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১০-এর শেষ দিকে জেল থেকে বেরিয়ে এলাকা-ছাড়া ছিল বাবন। তদন্তকারীরা বলছেন, তপনবাবু জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করতেন এবং তিনি ভাইয়ের খুনের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। এই দুই কারণেও তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। |
|
|
|
|
|