আখাউড়া-আগরতলা সরাসরি রেল যোগাযোগের দাবি দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে দু’ তরফে প্রাথমিক ভাবে মত বিনিময়ও হয়। দুই দেশের রেল মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরেই শুরু হতে পারে আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের কাজ।
আগরতলায় ওয়াকিবহাস সূত্রের খবর, কোন দিকে কী ভাবে রেললাইন বসানো হবে তা স্থির করতে ৯ জুন ত্রিপুরায় আসছেন আন্তর্মন্ত্রকের এক প্রতিনিধি দল। ৮ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকছেন রেলওয়ে বোর্ডের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সদস্য বি এন রাজশেখর। রেলওয়ে বোর্ডের ট্রাফিক বিভাগের নির্বাহী অধিকর্তা সুচিত্ত কে দাসও দলে রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বিদেশ মন্ত্রক ও ডোনার (ডিপার্টমেন্ট অব নর্থ-ইস্ট রিজিয়ন) এই অর্থ দেবে। এই সংযোগ সাধনের জন্য সব মিলিয়ে ১০ কিলোমিটার রেললাইন পাততে হবে। ৫ কিলোমিটার হবে ভারতে ও ৫ কিলোমিটার হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ভিতরে ৫ কিলোমিটার লাইন বসানোর ব্যয়ও ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক বহন করবে। ভারতের দিকের ব্যয় বহন করবে ‘ডোনার’।
আগরতলা থেকে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর স্টেশন হয়ে আখাউড়া যাবে। দুই দেশের রেল মন্ত্রক কিছু দিন আগে সমীক্ষা চালিয়ে তার গতিপথও ঠিক করেছে। লাইনটি আগরতলা স্টেশন থেকে সিদ্ধি আশ্রম শ্মশান ক্যাম্পের বাজার হয়ে গঙ্গাসাগর স্টেশন হয়ে আখাউড়া স্টেশনে যাবে। এই গতিপথটি এখন দুই দেশের আনুষ্ঠানিক সিলমোহরের অপেক্ষায়। ৯-১০ জুন প্রতিনিধি দলের সফরের পর কাজ আরম্ভ হবে। তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভারতের দিকে অর্থাৎ ত্রিপুরার ভেতরের নতুন ৫ কিলোমিটারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের দিকে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৬ কোটি টাকা। লাইন হবে মিটারগেজ। |