জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এ বার মুখ খুলতে হল বিজেপি-কেও। কৃষক আন্দোলনের মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীকে কাল অধিগ্রহণের প্রশ্নে নিজের ক্ষমতা খর্ব করেও জমি-নীতি ঘোষণা করতে হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসও তৎপর জমি-রাজনীতি নিয়ে। মনমোহন সরকারকে চাপের মধ্যে রাখার সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের নজর লখনউয়ের কুর্সির দিকেও। সেই কারণেই লখনউয়ে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও বিজেপি-কে আজ জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়েছে।
বিজেপি-র বৈঠকের শুরুতেই সভাপতি নিতিন গডকড়ী আজ কৃষকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ কী হওয়া উচিত, সেই প্রসঙ্গ তোলেন। পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের প্যাকেজের পক্ষে সওয়াল করে কার্যত কৃষকদের মন জয় করার চেষ্টা করেন তিনি। তবে জমি অধিগ্রহণের অধিকার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে মতামত জানাননি তিনি। সম্প্রতি গ্রেটার নয়ডায় ভাট্টা পরসৌল গ্রামে যে ভাবে কৃষক আন্দোলন হয়েছে, তার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জমি-বিরোধ ঘুম কেড়েছে খোদ মায়াবতীরও। তাই তড়িঘড়ি কৃষক পঞ্চায়েত ডেকে কাল জমি-নীতি ঘোষণা করতে হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে রাহুল গাঁধী-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বও যে ভাবে জমি-রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাতে বিজেপি-র পক্ষেও চুপ করে বসে থাকা সম্ভব ছিল না।
বৈঠকে গডকড়ী বলেন, “কতটা জমি অধিগ্রহণ করা হবে, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এর কী প্রভাব পড়বে, সে সব ভেবেই এগোতে হবে।” ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে চারটি বিষয়ের উপর সবিস্তার আলোচনা চান বিজেপি সভাপতি। এক, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাজার দরের থেকেও বেশি দামে কৃষি জমি নেওয়া। দুই, জমি মালিকদের প্রকল্পে নির্দিষ্ট অংশীদারি দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তিন, উন্নয়নমূলক প্রকল্পে জমি দিলে পরিবারের অন্তত এক জনকে চাকরি দেওয়া। চার, জমির উন্নয়ন হলে সেই জমির কিছুটা মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। পরে কংগ্রেসকে বিঁধে বিজেপি-র মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “বিজেপি-শাসিত কোনও রাজ্যে এখনও উন্নয়নের জন্য জমি অধিগ্রহণে সমস্যা হয়নি।” |