আগে ঘোষণা নয় প্রধানমন্ত্রীর নাম, চাল গডকড়ীর
লে প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে বিজেপি সভাপতি জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী পদে আগেভাগে কারও নাম ঘোষণা করা হবে না।
দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নিতিন গডকড়ী কাল প্রকাশ্যেই বলেন, “কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের আগে তা ঠিক করা হবে না। নির্বাচিত সাংসদরাই স্থির করবেন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।” সেই সময় সামনে উপস্থিত বিজেপির একগুচ্ছ শীর্ষ নেতা। খোদ সভাপতির এই মন্তব্য শুনে অনেক নেতাই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বিজেপির কয়েক জন নেতার দৌড় যে ভাবে শুরু হয়েছে, তা থামাতেই এই প্রয়াস। সম্প্রতি কর্নাটকে রেড্ডি ভাইদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে গিয়ে সুষমা স্বরাজ সতীর্থ অরুণ জেটলির ঘাড়েই দায় চাপিয়েছিলেন। দলের অনেকেই মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্যই সুষমা নিজেকে ‘কলঙ্কমুক্ত’ করতে চেয়েছেন।

বিজেপির এক নেতার কথায়, শুধু সুষমা বা জেটলি কেন, প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও হাল ছাড়েননি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকেই প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছিল। পরের লোকসভায় তিনি আর এই দৌড়ে থাকতে চান না বলে অনেকে বলছেন বটে, কিন্তু সুযোগ পেলে তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। ফলে গডকড়ী ভোটের বহু আগেই এই প্রতিযোগিতায় বিরাম দিতে চাইলেন। সেই নেতার বক্তব্য, “এতে ব্যক্তিগত উচ্চাশা পূরণের বদলে সকলে দলের কথা ভাববেন। গত নির্বাচনে আডবাণীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার হয়েছিল। নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের ভাবমূর্তিতেও তার আঁচ পড়েছে। তিনি সারা জীবন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অপেক্ষাই করে গেলেন, এমন কটাক্ষ বিরোধীরা এমনকী প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে করেন।”
গডকড়ীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের মতে, তিন বছর পর লোকসভা নির্বাচনে শারীরিক কারণে আডবাণী কতটা সক্রিয় হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, শীর্ষ পদে যাওয়ার জন্য দলের দ্বিতীয় সারির নেতাদের হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। দল ২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতবে কি জিতবে না, তা ঠিক নেই। ফলে এখন থেকে এই প্রতিযোগিতা অর্থহীন। গডকড়ীর মন্তব্যে উৎসাহিত সুষমা-ঘনিষ্ঠ এক নেতা আবার বললেন, ‘‘সভাপতির বক্তব্যের অর্থ, লোকসভায় জেতা সাংসদরা তাঁদের নেতা নির্বাচন করবেন। অর্থাৎ, রাজ্যসভার কোনও নেতার (অরুণ জেটলি) আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না।” এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় গডকড়ী নিজেই পরে বিষয়টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের এখনও ঢের দেরি। নির্বাচন যখন হবে, তখন সংসদীয় বোর্ড এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তা ভোটের আগেও হতে পারে, পরেও হতে পারে।” দলের অনেকে এই প্রশ্নও তুলছেন, ২০১৪ সালে গডকড়ী নিজেই সভাপতি থাকবেন না। ফলে তিন বছর পরের কথা আগ বাড়িয়ে বলাও অর্থহীন। তবে এ-ও ঠিক, সভাপতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়েও আরএসএস এবং বিজেপিতে আলোচনা চলছে। রাজনাথ সিংহ এই পদে থাকার সময়েই সভাপতির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। সফল হননি।
তবে বিতর্ক থামাতে গডকড়ী আজ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও ‘ঐক্যবদ্ধ ভাবে’ কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো ‘অজাতশত্রু’ ব্যক্তিত্ব হওয়ার কথা বলেছেন। বাজপেয়ীর আদর্শ ও তাঁর রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে তাঁর যাবতীয় লেখা নিয়ে ৮ জুন দিল্লিতে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
Previous Story Desh Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.