প্রচণ্ড গরমে মেট্রোযাত্রীদের জন্য সুখবর। আজ, শনিবার রাতেই হাওড়ায় পৌঁছচ্ছে আরও একটি বাতানুকূল রেক। পেরাম্বুর থেকে বৃহস্পতিবার রওনা দিয়েছে সেটি। তবে পেরাম্বুরের কোচ কারখানায় থার্ড রেল না থাকায় কলকাতায় পৌঁছনোর পরে পরীক্ষা করে এ মাসের শেষে রেকটিকে লাইনে নামানো যাবে বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তারা। আরও দু’টি বাতানুকুল রেকও প্রস্তুত। জুলাই মাসের গোড়াতে সেগুলিও কলকাতায় পৌঁছে যাবে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। প্রথম দু’টি বাতানুকূল রেক মেট্রো হাতে পেয়েছিল ন’মাস আগে।
মেট্রোর জনসংযোগ অফিসার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “১৩টি বাতানুকুল রেকের বরাত দেওয়া হয়। তার মধ্যে দু’টি চলছে। আরও দু’টি রেকও রওনা দিয়েছে। বাকি পাঁচটি ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানোর কথা। সব ঠিক চললে বাকি চারটি রেক ২০১২-র মার্চের মধ্যে এসে পৌঁছবে।” সে ক্ষেত্রে মার্চের পরে বরাত দেওয়া ১৩টি বাতানুকুল রেকই হাতে পেয়ে পুরনো রেকগুলি আস্তে আস্তে সরানো হবে। যেগুলির অবস্থা ভাল থাকবে, সেগুলিকে প্রয়োজনে অতিরিক্ত পরিষেবা দিতে ব্যবহার করার কথাও রয়েছে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান।
অন্য দিকে, চালু এসি রেক দু’টির একটি শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ দমদম থেকে রওনা হওয়ার পরেই বিকল হয়। গরমে বদ্ধ কামরায় কাহিল হন যাত্রীরা। সেন্ট্রাল, পার্ক স্ট্রিট, কালীঘাটে প্ল্যাটফর্মে নেমে অভিযোগ জানান তাঁরা। মেট্রোকর্তারা দাবি করেন, একটি কোচেই সমস্যা হয়। যাত্রীরা অন্য কামরায় গেলে সমস্যা মিটত। কিন্তু অফিসটাইমের ঠাসা মেট্রোয় একটি কামরা খালি করে বাকি সাতটিতে অত যাত্রীকে জায়গা দিতে সমস্যা হয়। অভিযোগ, ওই অবস্থায় ট্রেনটিকে কবি সুভাষ পর্যন্ত চালিয়ে ফের দমদমের উদ্দেশে চালানো হয়। প্রত্যুষবাবু অবশ্য জানান, তাঁরা সব স্টেশনে ঘোষণা করেছিলেন বিকল এসি সম্পর্কে। এসি সারাতে রেকটিকে দমদমে নিতেই হত। তাই যাত্রী নিয়েই ট্রেনটি দমদমে যায়। |