গত জুনেই ৪,৮০০ কোটি টাকায় ইনফোটেল ব্রডব্যান্ডকে কিনেছিল আরআইএল। তারহীন ব্রডব্যান্ড স্পেকট্রামের নিলামে এক মাত্র সংস্থা হিসাবে দেশের ২২টি সার্কেলেই পরিষেবা দেওয়ার অধিকার পেয়েছিল তারা। এ দিন তাই কিছুটা প্রত্যাশিত ভাবেই আগামী ৩-৫ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনে ব্রডব্যান্ড পরিকাঠামো তৈরির কথা জানিয়েছেন মুকেশ।
সংস্থার উপচে পড়া ভাঁড়ারের প্রসঙ্গে মুকেশের দাবি, চলতি অর্থবর্ষেই সংস্থার নিট ঋণ নেমে আসবে শূন্যতে। এখন যা ৬৭,৩৯৭ কোটি টাকা। উল্টো দিকে, সংস্থার ভাঁড়ারে নগদ এবং নগদের সমতুল্য অর্থের পরিমাণ ৪২,৩৯৩ কোটি। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে ২৩টি তেল ও গ্যাসের ব্লকের ৩০% অংশীদারি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামকে বিক্রি করায় হাতে আসবে ৩২,৪০০ কোটি। ফলে নিট ঋণ শূন্য হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, গত অর্থবর্ষে ভারতের প্রথম বেসরকারি সংস্থা হিসেবে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ব্যবসার গণ্ডি ছাড়িয়েছে আরআইএল।
সেনসেক্স পড়ল। মুকেশের ঘোষণা অবশ্য খুশি করতে পারেনি শেয়ার বাজারকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন লগ্নির কথা বললেও, স্পষ্ট করে প্রকল্প চিহ্নিত করেননি মুকেশ। বলেননি কে-জি বেসিনে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও। যার জেরে ১.৬৫% পড়েছে আরআইএলের শেয়ার দর। সেনসেক্সও ১১৮ পয়েন্ট পড়ে থামে ১৮,৩৭৬ অঙ্কে। তবে টু-জি কেলেঙ্কারিতে অনিল অম্বানী সিবিআইয়ের ক্লিনচিট পাওয়ায় এ দিন দর বেড়েছে তাঁর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের। |