মুর্শিদাবাদে মূলত উৎপাদিত হয় বোম্বাই, বেদানা গুটি জাতের লিচু। মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ তা বাজারে চলে আসে। মুজফ্ফরপুরের লিচুও এ জেলার মাটিতে লাগিয়ে আগেই ফল পাচ্ছেন চাষিরা। লালবাগের লিচুচাষি হায়াতুন নবি পরীক্ষামূলক ভাবে এ বারে দিল্লির মেলায় পাঠিয়েছেন ১৩০ প্যাকেট (দেড় কেজির প্যাকেট) লিচু। এখানে যে লিচুর দাম ৫০ টাকার মতো, দিল্লিতে সেই লিচুর দাম যথেষ্ট বেশি।
হায়াতুন বলেন, “মুজফ্ফরপুরের লিচু এই সময় বাজারে আসেনি। সেই কারণেই মুর্শিদাবাদের লিচু নিয়ে ফল ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। মেলায় যদিও সে লিচু সাত গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। দিল্লির সাধারণ বাজারে অতটা না-হলেও মুর্শিদাবাদের লিচুর দাম তিন গুণ হবে বলে আমাদের ধারণা। কারণ, এ জেলার লিচুর মিষ্টি বেশি।” হায়াতুনবাবু বলেন, “উত্তর ভারতে লিচুর বাজার ধরে তা প্যাকেজিং করে পাঠাতে পারলে বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হবেন চাষিরা। কিন্তু সমস্যা লিচু পাঠানোর। ট্রেনে ‘এ সি’-র মধ্যে পাঠাতে হবে লিচু। ভাড়া বেশি। সেক্ষেত্রে উদ্যান পালন দফতর আশ্বাস দিয়েছে, উন্নতমানের প্যাকেজিং ব্যবস্থা প্রয়োগ করে দিল্লি বা তার আশপাশে লিচু পাঠানো সম্ভব।”
জাতীয় উদ্যান বোর্ডের এই মেলার অন্যতম সংগঠক জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “দিল্লি এলাকার ফল ব্যবসায়ীদের মুর্শিদাবাদের লিচু সম্পর্কে কোনও ধ্যান-ধারণা ছিল না। ফরাক্কায় সবচেয়ে বেশি লিচু হয়। অথচ সেখানকার লিচু আসে না দিল্লিতে। গ্রীষ্মের প্রথমেই যদি দিল্লিতে মুর্শিদাবাদের লিচু এসে পড়ে তা হলে সে জেলার লিচু চাষিরা ভাল পয়সা পাবেন। আগামী বছর থেকে চাষিরা যাতে সে সুযোগ পান তার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে চাষিদের।” |