|
|
|
|
শোনপুর বাজারি |
প্যাচের কাজে বাধা দিচ্ছে সিটু, অভিযোগ ইসিএলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাণ্ডবেশ্বর |
সিটুর বাধায় শুরু করা যাচ্ছে না শোনপুর বাজারি প্রকল্পের হাসডিহা প্যাচের বর্ধিতকরণের কাজ। এমনই অভিযোগ করল ইসিএল। এই মর্মে প্রশাসনকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
ইসিএল সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি পাণ্ডবেশ্বরের শোনপুর বাজারি প্রকল্পের হাসডিহা প্যাচের খনন কাজ শুরু করার জন্য এক ঠিকা সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। ওই ঠিকা সংস্থা কাজ শুরু করতে গেলে প্রথমে সিটু, পরে তৃণমূল বাধা দেয়। এর পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে সব শ্রমিক সংগঠনগুলি যোগ দেয়। সেখানে ৬ মার্চ থেকে কাজ চালুর ব্যাপারে ঐকমত্য হয় সকলে। ঠিক হয়, ৬ মার্চ থেকে কাজ চালু করা হবে।
ইসিএলের অভিযোগ, ৬ মার্চ কাজ শুরু করতে গেলে ফের বাধা দেয় সিটু। ইসিএলের এক আধিকারিক জানান, সিটু নেতৃত্ব সে দিন নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান। ওই আধিকারিক বলেন, “সেই সময় আমরা ওদের দাবি মেনে নিই। কিন্তু ১৭ মে কাজ শুরু করতে গেলে ফের বাধা দেয় সিটু এবং তৃণমূল। ২১ মে বৈঠক ডাকা হলে তৃণমূল সেখানে যোগ দেয়। কিন্তু সিটু নেতৃত্ব আসেননি। তৃণমূল কাজ চালুর ব্যাপারে রাজি হলেও সিটু নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। যার জেরে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।”
সংস্থার সদর দফতরে আয়োজিত বৈঠকেও সিটু এ ব্যাপারে অনড় থাকে বলে জানান ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, এর জেরে সংস্থা দৈনিক প্রায় এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রাজ্য সরকার দৈনিক ৫০ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে না। এমন চলতে থাকলে সংস্থা ফের রুগ্ণ হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এর ফলে নবম জাতীয় কয়লা বেতন চুক্তি ১ জুলাই থেকে চালু করা যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পের সিজিএম চন্দ্রভূষণ সুদ আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছেও এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
সিটু নেতা তথা পাণ্ডবেশ্বরের সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, এই প্রকল্পটি চালু হলে দশ বছরের মধ্যে সংলগ্ন নবগ্রাম, ভালুকা, কুচিবেড়া, শোনপুর বাজারির মতো ১৪টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অস্তিত্ব হারাবে ৫৭ একরের একটি বনভূমিও। সিটু নেতৃত্বের দাবি, এই পরিস্থিতিতে প্যাচ বর্ধিতকরণের কাজ করতে হলে বাড়ি ও জমিহারাদের চাকরি দিতে হবে। তার পরেও এমন ভাবে কাজ করতে হবে যাতে জনপদের ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে খোলামুখ খনির পরিবর্তে ভূগর্ভস্থ খনির পরিকল্পনা নিতে হবে। আরও দাবি, এই কাজে ‘আউটসোর্সিং’ করা যাবে না। এ সব দাবি পূরণ না হলে কাজ করতে বাধা দেওয়া হবে বলে জানান গৌরাঙ্গবাবু। নীলাদ্রিবাবু অবশ্য বলেন, “ভূগর্ভস্থ খনি করা হলে ব্যাপক লোকসান হবে। তা করা সম্ভব নয়।” আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, বিষয়টি নিয়ে সোমবার সব পক্ষকে নিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। |
|
|
|
|
|