জিৎ, দেবের পাশাপাশি শুক্রবার বাংলার মাটিতে লড়াইয়ে নামছেন বলিউডের আর এক নায়ক। সলমন খান অভিনীত ‘রেডি’ মুক্তি পাচ্ছে ৩ জুন। গত বছর ‘দাবাং’-এর পরে সলমনের নতুন ছবি এটিই। তাঁর জনপ্রিয়তার নিরিখে বলিউডের আশা, ‘রেডি’-ও সুপারহিট হবে। পশ্চিমবঙ্গে ৯০টি হলে মুক্তি পাচ্ছে সলমনের ছবি। কোন ছবি কতটা সাড়া ফেলছে, সেটা শুক্রবারের আগে হয়তো বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু হল দখলে বলিউডকে ইতিমধ্যেই টেক্কা দিয়েছে টলিউড। এ রাজ্যে ‘পাগলু’ মুক্তি পাচ্ছে ১৭৪টি আর ‘শত্রু’ আসছে ১২৪টি হল-এ।
এ তো গেল সংখ্যাতত্ত্বের লড়াই। ‘শত্রু’ আর ‘পাগলু’-কে নিয়ে টলিউডে আরও তিনটে লড়াই শুরু হয়েছে তলে তলে।
প্রথম যুদ্ধটা সোজাসাপটা। দেব বনাম জিৎ। টলিউডে কে বড় তারকা? শুক্রবার তাঁদের ছবি-ভাগ্যই জানিয়ে দেবে উত্তরটা।
দ্বিতীয় লড়াই ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর সঙ্গে ‘শত্রু’-র পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর। ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর হাত ধরেই রাজের কেরিয়ার শুরু। কিন্তু এ বার ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর প্রতিদ্বন্দ্বী অশোক ধানুকার প্রযোজনায় ছবি করেছেন রাজ। তিনি অবশ্যই ভেঙ্কটেশদের দেখাতে চাইবেন যে তাদের ছাড়া তিনি সুপারহিট ছবি বানাতে পারেন!
তিন নম্বর লড়াই ‘পাগলু’ আর ‘শত্রু’র প্রযোজকদের মধ্যে। ‘পাগলু’-র প্রযোজক নিসপাল রানে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে, তাঁর পিছনে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর সমর্থন আছে। এটাও এখন জলের মতো পরিষ্কার যে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর সঙ্গে ‘শত্রু’-র প্রযোজক অশোক ধানুকার সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। সে দিক থেকে দেখলে এই দু’টো ছবি দুই প্রোডাকশন হাউসের মর্যাদার লড়াই।
শুধু তাই নয়, সিনেমা হল দখলের লড়াইয়েও নেমে পড়েছে ‘শত্রু’ আর ‘পাগলু’। কোনও একটি বিশেষ ছবি দেখানোর জন্য ‘উপরি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও নাকি দেওয়া হচ্ছে।
চারদিকে যতই ডামাডোল চলুক, জিৎ এবং দেব কিন্তু তাঁদের ছবির ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। জিতের কথায়, “বিয়ের পরে এটাই প্রথম ছবি। তাই ‘শত্রু’ স্পেশ্যাল তো বটেই। জানি দেব আর সলমনের ছবির সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ‘শত্রু’। কিন্তু আমরা আমাদের ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ‘পাগলু’-র জন্যও রইল অভিনন্দন। যে কোনও ছবিই জনপ্রিয়তা পেতে পারে। তাতে ইন্ডাস্ট্রিরই ভাল।”
মহা শুক্রবারের আগে কী বলছেন দেব? “খুব এক্সাইটেড লাগছে। ছ’মাস পরে এটা আমার নতুন ছবি। আমি জানি আরও দু’টো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তবে আমি চাই দর্শক আগে ‘পাগলু’ই দেখুক!”
শেষ পর্যন্ত জিতবে কে ? বলে দেবে শুক্রবারের সন্ধ্যাই। ১১ কোটির এই লড়াইয়ে একটা বিষয় অবশ্য স্পষ্ট। দিনে দিনে টলিউড কিন্তু আরও পরিণত হচ্ছে। |