অস্ত্র উদ্ধার, ভাঙচুর সিপিএম কার্যালয়ে

সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে ফের উদ্ধার হল অস্ত্র। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির সৈয়দপুর লোকাল কমিটির কার্যালয় থেকে একটি রিভলবার ও প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই ‘তল্লাশি’ চালান। পরে পুলিশ এসে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। সংলগ্ন অঞ্চল থেকেও একটি বন্দুক ও কিছু বোমা উদ্ধার হয়। অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি ওই লোকাল কমিটির অফিসে ভাঙচুরও চালানো হয়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাই ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ সিপিএমের। তাদের অভিযোগ, অস্ত্র উদ্ধারের নামে দলের একের পর এক কার্যালয়ে হামলা হচ্ছে। তৃণমূল অবশ্য এ সবই ‘জনরোষের ফল’ বলে দায়িত্ব এড়িয়েছে।
শালবনিরই বেনাচাপড়ায় সিপিএম শাখা কমিটির অফিসেও এ দিন ভাঙচুর চলে। উদ্ধার হয়ে ৫টি টাঙ্গি। দাসপুরের কিসমৎ নাড়াজোলে এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকেও একটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড কার্তুজ, দু’টি টাঙ্গি উদ্ধার হয়। নাড়াজোলে সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসও এ দিন ঘেরাও করেন তৃণমূল সমর্থকেরা।
এ দিন বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার কেনেটি-রসুলপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আবার বস্তা-বন্দি ৪০টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুকুরের জলে বস্তা ভাসতে দেখে বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বস্তা উদ্ধার করে। এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাস জানিয়েছেন, বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

হুগলির গোঘাটের বাবুরামপুর গ্রামে সিপিএমের একটি শাখা অফিস থেকেও এ দিনই একটি মাসকেট, ৩টি হাত কামান এবং কিছু লাঠি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দাবিতে গোঘাট ২-এর বিডিও অনির্বাণ সোমের উপস্থিতিতে পুলিশ ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙে তল্লাশি চালায়।
Previous Story Rajya Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.