এক দিনের মধ্যেই সুর বদল। উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা-তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এল রাজ্য সরকার। তবে মাধ্যমিকের ধাঁচে সর্বোচ্চ গ্রেড প্রাপকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে ‘কৃতীদের স্বীকৃতি’ দেওয়া হবে।
এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরোচ্ছে আগামী শনিবার। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে সোমবারেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ২০ জনের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বেশ কয়েক বছর ধরেই মেধা-তালিকা প্রকাশ করা হয় না। শুধু এ রাজ্যে নয়, দেশের প্রায় সর্বত্রই ছাত্রছাত্রীদের উপরে মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেধা-তালিকা প্রকাশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন সরকার মেধা-তালিকা প্রকাশের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রবীণ শিক্ষকদের অনেকেই তার সমালোচনা করেছিলেন।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, ওই সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মঙ্গলবার মেধা-তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও তারা অন্য কোনও উপায়ে কৃতী পরীক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। সেই ব্যাপারে ভাবনাচিন্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় সংসদ-কর্তাদের। মঙ্গলবার এই নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা। সংসদের সভাপতি ওঙ্কারসাধন অধিকারী এ দিন বলেন, “সর্বোচ্চ গ্রেড প্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
উচ্চ মাধ্যমিকে বাধ্যতামূলক পরিবেশবিদ্যা ছাড়াও ছ’টি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়। ওঙ্কারবাবু জানান, ওই ছ’টির মধ্যে ন্যূনতম পাঁচটি এবং ছ’টিতে সর্বোচ্চ গ্রেড ‘এএ’ (৯০ থেকে ১০০ নম্বর) পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে পৃথক ভাবে। তবে কোন তালিকাটি প্রকাশ করা হবে, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে সর্বোচ্চ গ্রেড প্রাপকেরাই যে নম্বরের বিচারে সকলের আগে থাকবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, মোট নম্বরের বিচারে তাদের থেকে এগিয়ে থাকা পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাই সংসদের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। প্রবীণ শিক্ষকদের বক্তব্য, যে-সব যুক্তিতে মেধা-তালিকা প্রকাশ বন্ধ করা হয়েছে, সেই কারণেই গ্রেড প্রাপকদের তালিকা বানানো উচিত নয়। |