টুকরো খবর |
পতাকা ছেঁড়া নিয়ে গণ্ডগোল কাটোয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
|
কাটোয়া স্টেশনে চলছে বিক্ষোভ।— নিজস্ব চিত্র। |
পতাকা, ফেস্টুন টাঙিয়ে সংগঠনের কর্মসূচি পালনের সময় গোলমাল বাধল ডিওয়াইএফ ও আরপিএফের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে কাটোয়া স্টেশনের ঘটনা। পরে অবশ্য আরপিএফের কাটোয়া পোস্টের আইসি অমিতাভরঞ্জন ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় গোলমাল মিটে যায়। ডিওয়াইএফের অভিযোগ, টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে গণস্বাক্ষর অভিযান চলছে। এ দিন তাঁরা ওই কর্মসূচি পালন করার জন্যই কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার মূল গেটের সামনে ফেস্টুন ও পতাকা টাঙানো হয়। হঠাৎই আরপিএফ কর্মীরা এসে ওই ফেস্টুন ও পতাকা ছিঁড়ে দেয়। ডিওয়াইএফের দাবি, ওই ঘটনার কথা আইসিকে বলতে গেলে আরপিএফ তাদের গায়ে হাত দেয়। এরপরেই স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ডিওয়াইএফ। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। আরপিএফের কাছে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। সংগঠনের কাটোয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রকাশ সরকারের দাবি, তাঁরা এই কর্মসূচির জন্য আগে থেকে স্টেশন ম্যানেজার, জিআরপি ও আরপিএফের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন। অঞ্জনবাবুর দাবি, আরপিএফের আইসি ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় বিষয়টি মিটে গিয়েছে। আরপিএফের আইসি অমিতাভ রঞ্জনও বলেন, “একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটে গিয়েছে।”
|
ভোটের আগে নিরাপত্তা নিয়ে সভা বর্ধমানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
|
লোকসভা ভোটের আগে নিরাপত্তা নিয়ে নয় জেলার কর্তাদের সভা হল সার্কিট হাউসে। |
রাজ্যের নয় জেলার জেলাশাসক ও ঝাড়খণ্ডের এসপিদের নিয়ে লোকসভা ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সভা হল বৃহস্পতিবার। বর্ধমান সার্কিট হাউসের ওই সভায় ভোটের আগে পরে মাওবাদী বা অন্য সন্ত্রাসবাদীরা যাতে গোলমাল না ঘটাতে পারে সেজন্য সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সভায় হাজির ছিলেন আইসি পশ্চিমাঞ্চল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিভিশনাল কমিশনার হরি রামালু প্রমুখ। ডিভিশন্যাল কমিশনার হরি রামালু বলেন, “বৈঠকে লোকসভা ভোট সংক্রান্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় ঝাড়খণ্ডের তিন জেলা দুমকা, ধানবাদ, জামতাড়া আর এ রাজ্যের বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, হুগলি ও বর্ধমানের এসপি, ডিএমরা হাজির ছিলেন। ঠিক হয়েছে, মাওবাদী এলাকাগুলিতে তাদের গতিবিধি জানার আগাম চেষ্টা করা হবে। থানাগুলিকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীদেরও কাজে লাগানো হবে।”
|
শিবরাত্রিতে মেতেছে মন্তেশ্বরের গ্রাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
|
বর্ধমানের নবাবহাটের একটি মন্দিরে।—নিজস্ব চিত্র। |
শিবরাত্রির উৎসবে মেতেছে মন্তেশ্বরের তিন গ্রাম। মন্তেশ্বরের দেনুড়ে প্রাচীন দিনেশ্বর মন্দিরে সারা বছরই প্রচুর লোকের ভিড় থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় শিবরাত্রিতে। জনশ্রুতি রয়েছে, পাঁচশো বছরের পুরনো দিনেশ্বর দেবতার নাম থেকেই এলাকার নাম হয় দেনুড়। শিবরাত্রির সকালে নগর সংকীর্তন দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর সারা দিন ধরেই পুজো, যজ্ঞ চলতে থাকে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে অন্ন মহোৎসব। মন্তেশ্বর ছাড়াও কাটোয়া ও পূর্বস্থলীর অনেক বাসিন্দাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সন্ধ্যার পর উৎসব কমিটির তরফে পালাগান, কীর্তন, বাউল গানের আসর বসে। রাত জাগেন বহু মানুষ। মন্দির ঘিরে মেলাও বসে। উৎসব কমিটির তরফে দীপক কুণ্ডু বলেন, “পুরনো নিয়ম মেনে পুজো করার চেষ্টা করা হয়।” দেনুড় পঞ্চায়েতেরই পাতুন গ্রামে রয়েছে পঞ্চেশ্বর শিবমন্দির। সারা বছর ভিড় না থাকলেও শিবরাত্রিতে জমজমাট হয় মন্দির চত্বর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়েছে মন্দির। মন্দির চূড়া ঢেকে গিয়েছে গাছপালায়। কালনার ১০৮ শিবমন্দিরেও সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন মহিলারা। বৃত্তাকারে সাজানো ১০৮টি শিব মন্দিরে পরপর জল ঢালেন তাঁরা। শহরের প্রতাপেশ্বর মন্দিরেও শিবরাত্রিতে বড় মেলা বসে। বাঘনাপাড়ার গোপেশ্বর মন্দিরেও বহু ভক্তের সমাগম হয়।
|
ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
রাজ্যের ন’টি জেলার জেলাশাসক ও ঝাড়খণ্ডের পুলিশ সুপারদের নিয়ে লোকসভা ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সভা হল বৃহস্পতিবার। বর্ধমান সার্কিট হাউসের ওই সভায় ভোটের আগে পরে মাওবাদী বা অন্য সন্ত্রাসবাদীরা যাতে গোলমাল না ঘটাতে পারে সেজন্য সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সভায় হাজির ছিলেন আইসি পশ্চিমাঞ্চল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিভিশনাল কমিশনার হরি রামালু প্রমুখ। ডিভিশনাল কমিশনার বলেন, “বৈঠকে লোকসভা ভোট সংক্রান্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের তিন জেলা দুমকা, ধানবাদ, জামতাড়া এবং এ রাজ্যের বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, হুগলি ও বর্ধমানের এসপি, ডিএমরা হাজির ছিলেন। ঠিক হয়েছে, মাওবাদী এলাকাগুলিতে তাদের গতিবিধি জানার আগাম চেষ্টা করা হবে। থানাগুলিকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীদেরও কাজে লাগানো হবে।”
|
বাসের চাকায় পিষে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। বৃহস্পতিবার সকালে মঙ্গলকোটের কৈচর রেলগেটের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রায় চল্লিশ মিনিট অবরোধও করেন আশপাশের মানুষজন। পরে পুলিশ গেলে অবরোধ তুলে নেন ওই বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় নির্মাণকর্মী রাহুল শেখ (১৪) এ দিন সাইকেলে করে ক্ষীরগ্রামে কাজে যাচ্ছিলেন। পথে বলগোনা-কাটোয়া ন্যারোগেজ লাইনের কৈচর রেলগেটের কাছে বর্ধমানমুখী পূর্বস্থলী-বর্ধমান রুটের একটি বাসের সঙ্গে তার সাইকেলের ধাক্কা লাগে। রাহুল পড়ে গেলে বাসের চাকাটি তার পেটের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কৈচর নতুনগ্রামের ওই কিশোরের। এরপরেই স্থানীয় মানুষজন কৈচর-কৈথন রাস্তা সংস্কার, নিয়মিত বাস পরিষেবার দাবিতে অবরোধ করেন। |
|