সেভাবে ঘাঁটি না গাড়তে পারলেও এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে যাতায়াত রয়েছে মাওবাদীদের। ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সীমানা দিয়ে মাঝেমধ্যেই মাওবাদীরা ঢুকছে। এই পরিস্থিতিতে এক দিকে মাওবাদী নাশকতা, অন্য দিকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঠেকিয়ে লোকসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে করাটাই পুলিশের লক্ষ্য। কী ভাবে তা করা যাবে, সেই রূপরেখা তৈরি করতেই বুধবার এক বৈঠক হল।
মেদিনীপুরে এই বৈঠকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমের পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন, আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) অজয় নন্দা, সিআইএফের ডিআইজি অনিল কুমার ও সিআরপিএফের ডিআইজি (অপারেশন) বি ডি দাস। বৈঠক শেষে আইজি জানান, “শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এই সমন্বয় বৈঠক। প্রথমে সীমানাবর্তী জেলাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করা হল। পরবর্তীকালে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা লাগোয়া থানাগুলির সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রাখা হবে। এখনও মাওবাদীরা এ রাজ্যে ঢুকছে। সমন্বয়ের মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান করা হবে। তারপর ওই সমস্ত পথ সিল করে দেওয়া হবে।” |
জেলা পুলিশের সেফ হাউসে এ দিন টানা প্রায় দু’ঘন্টা বৈঠক হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৈঠকের মূল বিষয় ছিল সমন্বয় তৈরি করা। এখনও মাওবাদী উপদ্রুত তিনটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক ক্যাম্প রয়েছে। রয়েছে জেলা পুলিশ। লাগোয়া রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও সমন্বয় জরুরি। শুধু তথ্য আদানপ্রদান নয়, এ ক্ষেত্রে সমন্বয় রেখে তল্লাশি অভিযানের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই সীমানা ঘেঁষা রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে। তারপর এক যোগে তল্লাশি চালানো হবে জঙ্গলে। যাতে মাওবাদীরা পালানোর সুযোগ না পায়। যে পথে মাওবাদীদের আনাগোনা রয়েছে, সেখানে কড়া নজরদারিও চালানো হবে। |