বিন্দুর বয়ান নিয়ে জলঘোলা
নির্বাক শ্রীনি, ফের তদন্ত শুরু করছে মুম্বই পুলিশ

২৬ ফেব্রুয়ারি
ইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সাম্প্রতিক স্টিং অপারেশনে বিন্দু দারা সিংহর স্বীকারোক্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন। বললেন, “এ সব ব্যাপারে আমি মন্তব্য করি না।” আইসিসি, যাদের প্রথম চেয়ারম্যান হতে চলেছেন শ্রীনিবাসন, তারা এই ব্যাপারে নির্বাক দর্শকের ভূমিকায়। বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার বক্তব্য, “এটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আভ্যন্তরীন বিষয়। এই নিয়ে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারি না। যা করার তা বিসিসিআই-ই করবে।”
এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে বিন্দু দারা সিংহের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নিয়ে ফের তোলপাড় দেশের ক্রিকেট মহল। গোপন ক্যামেরার সামনে বিন্দু বলেন, “আইপিএল ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ড আসলে ললিত মোদী ও শ্রীনিবাসনের মধ্যে সঙ্ঘাতের জের। মোদীর পাশে ছিলেন শরদ পওয়ার।” তাঁর বক্তব্য, ক্রিকেট ও রাজনীতির জগতের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি এর মধ্যে জড়িত রয়েছেন। বিন্দুর এই স্বীকারোক্তির পর মহারাষ্ট্র সরকার নতুন করে ফিক্সিং কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাটিল জানান, ফের তদন্তের জন্য নতুন করে জেরা করা হতে পারে বিন্দুকে।
প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদীও এই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন এবং এই ব্যাপারে আইসিসি-র দুর্নীতি দমন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আইসিসি-র দুর্নীতি দমন বিভাগ দর্শকের ভূমিকায় কেন? তারা কেন এর মধ্যে ঢুকছে না?” মুম্বই পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ফের বিন্দু দারা সিংহকে জেরা করবে বলে জানিয়েছে। দিল্লি পুলিশ, যারা প্রথম এই কেলেঙ্কারি জনসমক্ষে আনে, তারাও প্রয়োজনে ফের তদন্ত শুরু করতে পারে।
দিল্লি পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু নিয়ে স্থির কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য তামিলনাড়ু পুলিশের অপরাধ দমন শাখার (সিবি-সিআইডি) গোয়েন্দারা নতুন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আইপিএলে বেটিং এবং ম্যাচ গড়াপেটার সম্ভাব্য সমস্ত দিক নিয়ে আরও খুঁটিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। সংস্থার এক সূত্রের কথায়, “আমরা যে নতুন প্রমাণ পেয়েছি, তা যথেষ্ট জোরদার। সেগুলি নিয়ে নতুন করে তদন্তের প্রয়োজনে আমরা আদালতের কাছে চার্জশিট পেশের জন্য আরও বেশি সময় চেয়ে নিতে পারি।”
গত বছরের গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে হোটেল ব্যবসায়ী বিক্রম অগ্রবাল, বুকি কিট্টি ওরফে উত্তম জৈন-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবি-সিআইডি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে পেশ বিচারপতি মুদগল কমিটি-র রিপোর্টে বলা হয়েছিল, “গড়াপেটায় গুরুনাথ মইয়াপ্পনের জড়িত থাকা নিয়ে যা তথ্যপ্রমাণ আছে, তার ভিত্তিতে যতটা গভীরে গিয়ে তদন্ত করা উচিত ছিল, আইসিসি ও বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার পাশাপাসি সিবি-সিআইডিও ততটা গভীরে গিয়ে তদন্ত করেনি।” এ দিন নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক সিবি-সিআইডি-র এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বলেন, “আমরা ঘটনার সমস্ত দিক নতুন করে খতিয়ে দেখছি। যাতে চার্জশিটে কোনও ফাঁক না থাকে।”

শ্রীসন্ত আবার বাইশ গজে

‘ক্রিকেট মাঠের পথে। গত বছরের মে-র পরে আবার খেলতে নামছি। দারুণ উত্তেজিত... আশা করি সব ঠিক থাকবে।’ বুধবার সকালে এই টুইট করেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্ত। স্পট ফিক্সিং কান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত পেসারকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। তবু হাল ছাড়তে রাজি নন কেরলের কলঙ্কিত তারকা। জানুয়ারির শেষে সংবাদমাধ্যমে পরপর সাক্ষাৎকারে তিনি সে কথা স্পষ্ট জানান। এমনও বলেন, ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে তিনি রীতিমতো আশাবাদী। এ দিন সেই প্রত্যাবর্তনের দিকেই কি প্রথম পা বাড়ালেন? সিএমসি দলের হয়ে কোচিতে এক প্রদর্শনী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে ফিরলেন শ্রীসন্ত। বোলিং করলেন। কোমরে অবশ্য কোনও তোয়ালে ছিল না।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.