|
|
|
|
সিপিএম কর্মীদের মারধর কেশপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিএমের কৃষক সংগঠন কৃষকসভার সাধারণ সভা ঘিরে বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় কেশপুরে। দলের জোনাল কার্যালয় জামশেদ ভবনে ওই সভা হচ্ছে জেনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। জামশেদ ভবনের দিকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমাবাজিও হয়। মারধরে দলের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। খবর পেয়ে যায় পুলিশ। তবে মারামারির কথা বলে মানতে নারাজ পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। বলেন, “কেশপুরে কোনও সংঘর্ষ হয়নি। বোমাবাজিও হয়নি।”
কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইয়ের অভিযোগ, “সভায় আসার পথে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে বোমাও মারা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই বোমাবাজি, মারধর হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, “৩৪ বছর ধরে এ ভাবেই মিথ্যাচার করেছে সিপিএম। প্ররোচনা তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। তবে, আমাদের দলের কর্মীরা তাতে পা দেয়নি। বোমা আমাদের কেউ ছোড়েনি। ওদের লোকজনই ছুড়েছে।” |
|
মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি সিদ্দিক আলি।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রতি ব্লকেই কৃষকসভার সাধারণ সভা হচ্ছে। বুধবার সভা ছিল কেশপুরে। প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ রায়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সভা শুরু হয়। তার আগেই অধিকাংশ নেতা-কর্মী জামশেদ ভবনে চলে আসেন। ছিলেন কেশপুরের বিধায়কও। অভিযোগ, সভা হচ্ছে জানতে পেরেই তৃণমূল কর্মী- সমর্থকেরা জামশেদ ভবনের সামনে জড়ো হন। সভায় আসার পথে সিপিএমের কয়েকজনকে মারধরও করা হয়।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কেশপুর জোন এলাকায় সিপিএম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মামলায় নাম জড়িয়ে অনেক নেতা-কর্মী এলাকাছাড়া। সংগঠনেও ধস নেমেছে। সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে কেশপুরে দলের সংগঠন পুনর্গঠনে উদ্যোগী হয়েছে সিপিএম। বিধায়ক রামেশ্বরবাবুর বক্তব্য, “কৃষকসভার সভায় প্রচুর কর্মী এসেছিলেন। এটা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল।”
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন কেশপুরে উত্তেজনার খবর পৌঁছয় জেলার পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের কাছে। পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই মতো কেশপুর থানার ওসি দয়াময় মাঝির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তৃণমূলের জমায়েত হালকা হতে শুরু করে। তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয়বাবু অবশ্য দাবি করেন, “আমাদের কোনও জমায়েত ছিল না। সিপিএমই বাইরে থেকে লোকজন এনে কেশপুরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|