‘প্রেম বহুত চাপ’ (রবিবাসরীয়, ১৬-২) প্রবন্ধটি মনোগ্রাহী, হাস্যরস উদ্রেককারী। কিন্তু কোথাও যেন সমস্ত প্রেমিকাকে একই ছাতার তলায় ফেলে তাদের সাধারণীকরণ করে ‘বোঝার মতো’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হল। |
প্রথম দুটি অনুচ্ছেদেই ‘প্রেমিকা মাত্রেই বেগার খাটায়, পকেট হাওড়া ময়দান বানায়, দেখানেপনাতে বিশ্বাসী’ এ রকম একটা ছবি ফুটে উঠেছে। এগুলি ‘ধারণা’ হতে পারে, ‘তথ্য’ নয়। কিছু ক্ষেত্রে এগুলি সত্য। তাই বলে এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সমস্ত প্রেমিকাকে ‘নন্দ ঘোষ’ বানানো অনুচিত। আর, প্রেমিকও কি এ ব্যাপারে কিছু কম? ‘তোমার এই টপটা ভাল নয়’, ‘এই সানগ্লাসটায় তোমাকে বেটার লাগে’, ‘আমার একটু ফুটবল ম্যাচ আছে আজ একটু নোটটা তুমি নিয়ে নিও’, ইত্যাকার মতামত বা ‘অনুরোধ’ বিরল নয়।
নবম অনুচ্ছেদে যে ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোর কথা লেখা আছে, সে রকম স্বভাব ছেলেমেয়ে উভয়েরই। ‘পজেসিভ প্রেমিক’ মাত্রই দু’বেলা প্রেমিকার মেসেজ ইনবক্স, এমনকী ফেসবুক প্রোফাইলও ঘাঁটেন। অনেক ‘প্রেমিকা’ই প্রেমিকের দৌলতে বন্ধু বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েছেন।
ছেলে বা মেয়ে কাউকেই সামগ্রিক ভাবে বিচার করা যায় না, নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর।
সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা-৫৫ |