• সম্প্রতি আরবিআই যে ইনফ্লেশন ইনডেক্সড বন্ড চালু করেছে, সেটা সম্পর্কে জানতে চাই।
গত ডিসেম্বরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ইস্যু করেছে ইনফ্লেশন ইনডেক্সড বন্ড। ইস্যুর মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়েছে তারা। আগে বন্ধ করা না-হলে এই ইস্যু খোলা থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
সাম্প্রতিক কালে ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার আকাশ ছুঁয়েছে। সঞ্চয় যে-গতিতে বাড়ে, তার থেকে বেশি হারে বাড়ে মূল্যবৃদ্ধি। সুতরাং আপনার আজকের সঞ্চয় থেকে আগামী দিনে যে-রিটার্ন পাবেন, তার অনেকটাই আবার খেয়ে যাবে মূল্যবৃদ্ধির দৈত্য। কাজেই খাতায়-কলমে সঞ্চয় বাড়ছে বলে মনে হলেও, মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে সেটা কিন্তু আদৌ কিছুই নয়। এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতেই সাধারণ মানুষের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এনেছে ইনফ্লেশন ইনডেক্সড ন্যাশনাল সেভিংস সিকিউরিটিজ।
এই বন্ডের সুদের হার ক্রেতা বা খুচরো বাজারের মূল্য সূচকের (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) সঙ্গে যুক্ত। যাঁদের নিয়মিত আয়ের প্রয়োজন নেই, তাঁরা এই সরকারি প্রকল্পে টাকা রাখতে পারেন। লগ্নি করা টাকা সুদে-আসলে বেড়ে উঠবে ১০ বছরে। প্রকল্পটির মূল বৈশিষ্ট্য হল—
• লগ্নির পরিমাণ কমপক্ষে ৫০০০ টাকা
• সর্বাধিক লগ্নি করতে পারেন ৫ লক্ষ টাকা
• মেয়াদ ১০ বছর
• সুদের মূল হার ১.৫%।
এর সঙ্গে যুক্ত হবে ক্রেতার মূল্য সূচকের হার। যেমন, মূল্য সূচক যদি ৯.৫% হয়, তবে বার্ষিক সুদের হার হবে ১১%। অর্থাৎ সূচকের সঙ্গে সুদ বাড়া-কমার সুযোগ থাকবে • শর্তসাপেক্ষে প্রবীণ নাগরিকেরা ১ বছর পর এবং অন্যরা ৩ বছর পর এই বন্ড ভাঙাতে পারবেন • সুদ অবশ্য করযোগ্য • এই বন্ডে লগ্নির জন্য ফর্ম পাওয়া যাবে স্টেট ব্যাঙ্ক এবং যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে।

(পরামর্শদাতা: বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ গুহ সরকার)

• আমি একজন গৃহবধূ। মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লগ্নি করতে চাই। আমাকে একটু সাহায্য করুন।

এটা দেখে খুব ভাল লাগছে যে, আপনি সঞ্চয় নিয়ে এ ভাবে ভাবছেন। যাইহোক, মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লগ্নি করার জন্য একেবারে প্রথমেই যা যা লাগবে, সেগুলি হল—
• আপনার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
• অ্যাকাউন্টটি থেকে চেক কাটার সুবিধা। (কারণ এখানে নগদে অর্থ লগ্নি করা যায় না। অ্যাকাউন্ট থেকে চেক কেটে জমা দিতে হয়।)
• কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার্স)। এ ক্ষেত্রে আমি ধরে নিচ্ছি আপনার প্যান কার্ড আছে (যেহেতু আপনি লেখেননি)। প্যান না-থাকলে কেওয়াইসি করা একটু সমস্যার।
এ বার আপনাকে জানতে হবে, কতটা ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন আপনি। নিজের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বিচার করলে দু’টি প্রশ্নের উত্তর পাবেন—
১) টাকা খাটানোর জন্য কোন ধরনের ফান্ড বেছে নিতে পারেন?
২) রিটার্ন বাড়ানোর জন্য কতটা কম বা বেশি তহবিল আপনি ডেট (ঋণপত্র) ও ইক্যুইটির (শেয়ার) মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করতে পারেন। কিংবা কী ভাবে, কতটা টাকা ডেট ফান্ড (ঋণপত্র ভিত্তিক ফান্ড) ও ইক্যুইটি ফান্ডে (শেয়ার ভিত্তিক ফান্ড) লগ্নি করতে পারেন। তবে এই ঝুঁকির বিষয়টি মাপতে হবে আপনার বয়স, আয়, সম্পদের পরিমাণ, দায়বদ্ধতা, কত দিন ধরে কত টাকা আটকে রাখা সম্ভব এই সমস্ত শর্ত বিচার করেই।
এর পর আপনার কাজ হল ফান্ড কেনার জন্য কোনও মধ্যস্থতাকারীর কাছে যাওয়া। সেটা ব্যাঙ্ক হতে পারে বা স্বাধীন কোনও আর্থিক পণ্য বিক্রেতা হতে পারেন। তবে কারও মাধ্যমে না-চাইলে, আপনি নিজেও সরাসরি লগ্নি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বাবদ যে-খরচ লাগত, তা-ও বেঁচে যাবে। যে-সম্পদ পরিচালনাকারী সংস্থায় আপনি ফান্ড কিনতে যাবেন, তারাই এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করবে।

(পরামর্শদাতা: মিউচুয়াল ফান্ড বিশেষজ্ঞ নীলাঞ্জন দে)


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.