দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ উঠল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রদের বিরুদ্ধে। বুধবার বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির হস্টেলে ঘটনাটি ঘটে। ইলেকট্রনিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছয় ছাত্রকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই পড়ুয়াদের।
দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র ধীরাজ কুমার ও অমরদীপ হাঁসদার অভিযোগ, “দিন দুয়েক আগে ক্লাসে অন্য একটি হস্টেলের কিছু ছাত্রের সঙ্গে সামান্য বচসা হয়েছিল। তার জেরেই দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের মোট ৫০ জন ছাত্র আমাদের এসএন বোস হস্টেলে এসে চড়াও হয়। তারা আমাদের শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ করেছে। রড লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারধরও করা হয়েছে। আমরা অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ও উপাচার্যের দফতরে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক পাত্র ও সভাপতি খন্দোকর আমিরুল ইসলাম বলেন, “এক হস্টেলে ঢুকে অন্য হস্টেলের ছাত্রেরা মারধর করেছে বলে আমাদের জানা নেই। ওই ধরনের ছোটখাট মারপিটের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। হস্টেল কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেবে।”
এসএফআইয়ের বর্ধমান শহর কমিটির সম্পাদক বিনোদ ঘোষ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটায় ছাত্রেরা আতঙ্কিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত অবিলম্বের ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের কঠোর সাজা দেওয়া।”
ইউআইটির অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি অমিয় ঘোষ বলেন, “বুধবার দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। তাতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রদের হস্টেলে ঢুকে মারধর করা হয়। আমরা ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি তৈরি করছি।” |