রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় বসার জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৪০। কত বার টেট দেওয়া যাবে, তা নিয়ে আগের বার কোনও নির্দেশিকা ছিল না। এ বার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা রাখা হচ্ছে না এবং যত বার খুশি টেট দেওয়া যাবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার জানান।
পর্ষদ-সভাপতি অবশ্য একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, টেটে উত্তীর্ণদের প্রাথমিকে নিয়োগের সময় নিয়োগকারী সংস্থা অর্থাৎ রাজ্য সরকার বা বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ যদি কোনও বয়ঃসীমা বেঁধে দেন, সে-ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে। রাজ্যের দ্বিতীয় টেট হবে আগামী ৩০ মার্চ।
গত বার যাঁরা প্রাথমিক স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেও সফল হননি, তাঁরা যে এ বার বিনা ফি-তেই টেটে বসতে পারবেন, মানিকবাবু আগেই তা জানান। এ দিন তিনি জানান, গত বার টেটে যে-সব প্রার্থী অকৃতকার্য হয়েছিলেন, এ বার টেটে আবেদন করলে তাঁদের ‘http://www.wbresults.nic.in’ এই ওয়েবসাইটে নিজেদের আগের বারের নয় সংখ্যার রোল নম্বর দিতে হবে। তখন তাঁদের কাছে একটি আবেদনপত্র আসবে। সেটি পূরণ করে তার প্রিন্ট-আউট নিতে হবে আবেদনকারীদের। সেই প্রিন্ট-আউটে থাকবে অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর, পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা, পরীক্ষার্থীর জেলা এবং থানা ইত্যাদি তথ্য। ওই প্রিন্ট-আউট নিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে পরীক্ষার্থীদের। গত বারের টেটে অকৃতকার্য প্রার্থীরা ফের এ বারের টেটে বসলে তাঁদের রোল নম্বর এবং পরীক্ষা কেন্দ্র গত বার যা ছিল, তা-ই থাকবে। ওই প্রার্থীরা আবেদন করার জন্য মঙ্গলবার থেকে সাত দিন সময় পাবেন। অ্যাডমিট কার্ড হারালে থানায় জিডি করিয়ে তার প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক সংসদের দফতরে জমা দিলে বিকল্প অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যাবে। নতুন আবেদনকারীরা কী ভাবে আবেদন করবেন, তা শীঘ্রই জানানো হবে।
টেট হবে ১৫০ নম্বরের। পরীক্ষার সময় বেলা ১টা থেকে আড়াইটে। পর্ষদ-সভাপতি জানান, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর নিয়ম মেনে ওই পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ের ১৫০টি মাল্টিপ্ল চয়েস প্রশ্ন থাকবে। উত্তরপত্রের মূল্যায়নে কোনও নেগেটিভ নম্বর থাকবে না। এক বার টেটে উত্তীর্ণ হলে যে-শংসাপত্র পাওয়া যাবে, এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী সেটি সাত বছর বৈধ থাকার কথা। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র কত দিন বৈধ থাকবে, সেই ব্যাপারে পর্ষদ ভাবনাচিন্তা করছে। টেটের শংসাপত্র বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জন্যও কার্যকর হবে। ওই শংসাপত্র পাওয়ার পরে যখন সরকার বা বেসরকারি স্কুল-কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেবেন, তখন চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। |