সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সচিব রাজীব কাথাইকে কেন্দ্রীয় সরকারের গুপ্তচর বলে দাবি করল জঙ্গি সংগঠন ‘কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (কেএলও)।
মঙ্গলবার এই মর্মে কেএলও-র সাধারণ সম্পাদক কৈলাস কোচের সই করা বিবৃতি ই-মেলে সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছয়। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক পড়শি রাষ্ট্রে কেএলও-র ঘাঁটি থেকে নিখোঁজ হওয়া রাজীব কাথাই সংগঠনের এক শিক্ষার্থী সদস্যকে নিয়ে বর্তমানে অসম পুলিশের আশ্রয়ে রয়েছেন। অসম পুলিশ ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
নমনি অসমের ধুবুরির পুলিশ সুপার মৃদুলানন্দ শর্মা এবং কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার সুনীল কুমারদু’জনেরই বক্তব্য, “কেএলও-র প্রচার সচিব রাজীব কাথাই কোথায় আছেন, তা জানা নেই। উনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বা আত্মসমর্পণ করেছেন, এমন কোনও তথ্যও নেই।” পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেএলও-র অস্ত্রাগার সামলানোর অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন এই রাজীব কাথাই ওরফে বিমল রায় ওরফে সোনু। সংগঠনের বেশির ভাগ ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ছিল তাঁর হেফাজতে। সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ই-মেল যাঁর নামেই ছাড়া হোক, লিখে পাঠাতেন তিনি। অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা রাজীব ২০১১ সালে সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর থেকে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি কেএলও-প্রধান জীবন সিংহের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। নমনি অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায় সংগঠনের দেখভালের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়। নেপালের ঝাপা জেলার গোপন ঘাঁটিতে ২০১৩-র মার্চ মাসে কেএলও-র নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি তৈরি হলে প্রচার সচিবের দায়িত্ব পান রাজীব। গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি কেএলও-র চার শীর্ষ নেতা নেপাল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরে রাজীব আর এক পড়শি রাষ্ট্রে চলে গিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সেই নেতাকেই এ বার সংগঠন থেকে বার করে দেওয়ার ঘোষণা করে বিবৃতিতে কেএলও-র দাবি, রাজীব ভারতীয় সেনার অফিসার। ছদ্ম পরিচয়ে সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন। সংগঠনের সমস্ত তথ্য অসম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছেন তিনি। সংগঠনের যুবকদের নানা প্রলোভনে তাঁর সঙ্গে সংগঠন ছাড়ার কথাও বলেন তিনি। |