আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দের সঙ্গে দেখা করতে মরিয়া গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব। মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের নির্দেশে মঙ্গলবার ৫ সদস্যদের দল দিল্লি পৌঁছেছে। মোর্চার অন্দরের খবর, রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে জিটিএ চালানোর পথে হাঁটলেও তাঁরা যে গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরেননি, পাহাড়ের মানুষের কাছে সেই বার্তা দিতে চাইছেন বিমল গুরুঙ্গ। তাই লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছেন মোর্চা প্রতিনিধিরা। সে জন্য দিল্লিতে পৌঁছেই কংগ্রেসের নানা স্তরে যোগাযোগও শুরু করেছেন মোর্চা প্রতিনিধিরা। প্রতিনি দলের নেতৃত্বে থাকা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তো বটেই, দিল্লির নানা রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করতে চাই। এখনও কারও সঙ্গে দেখা করার সময় ঠিক হয়নি। আশা করি, শীঘ্রই সাক্ষাতের দিনক্ষণ ঠিক হবে।”
দিল্লিতে তৎপরতার সঙ্গে পাহাড়েও ঘর গোছানোর কাজে নেমে পড়েছে মোর্চা। এ দিনই দার্জিলিং সদরে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের উপস্থিতিতে একটি রূদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানে দার্জিলিং মহকুমার সব স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আসন্ন লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থী দেওয়া হবে নাকি কোনও দলকে সমর্থন করা হবে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। মোর্চার এক নেতা জানান, অধিকাংশই মত দেন, আগামী দিনে যে দল গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণের ব্যাপারে সহায়ক হবে, তাদের সঙ্গেই থাকার কথা ভাবতে হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাহাড়ের সব মহকুমার দলীয় কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন মোর্চা সভাপতি। |