আবেদন এসেছে ১৭ লক্ষেরও বেশি। তার মধ্যে সারদা কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার লক্ষ ২৭ হাজার আমানতকারীর চেক দেওয়া হয়েছে। সারদা কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি শ্যামলকুমার সেন মঙ্গলবার এ কথা জানান।
যাঁরা সারদায় ১০ হাজার টাকা বা তার কম লগ্নি করেছিলেন, প্রথম দফায় তাঁদেরই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী পুজোর আগে থেকে এ-পর্যন্ত চার লক্ষেরও বেশি আমানতকারীকে চেক দেওয়া হয়েছে। সরকার এই খাতে ১৬৭ কোটি টাকা কমিশনের অ্যাকাউন্টে দিয়েছে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজারের কম টাকা লগ্নিকারীদের অর্থ ফেরতের পরে এ বার কী করবে কমিশন?
জবাবে শ্যামলবাবু বলেন, “যে-সব আমানতকারী ১০ হাজারের বেশি টাকা লগ্নি করেছেন, এ বার তাঁদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।” কিন্তু ১০ হাজারের বেশি টাকা তো অনেকেই রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কারা টাকা ফেরত পাবেন? শ্যামলবাবু বলেন, “যাঁরা সারদায় ১০ থেকে ১৫ বা ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁরাই টাকা ফেরতের সুযোগ পাবেন।” দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা ফেরতের ঊর্ধ্বসীমা কত হবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন জেলায় সারদার যে-সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, তা নিয়ে কোনও আইনি জটিলতা রয়েছে কি না, তা জানতে কমিশনের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকেও সবিস্তার তথ্য জানাতে বলেছিল কমিশন। এ দিন শ্যামলবাবু জানান, বেশ কয়েকটি জেলা থেকে তথ্য এসেছে। কমিশন সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আসা তথ্যে দেখা গিয়েছে, ওই তিন জেলার সম্পত্তির তালিকায় কোনও আইনি জটিলতা নেই। এ দিন শ্যামলবাবু জানান, কেন্দ্রীয় নিলাম সংস্থা এমএসটিসি-র সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তারাই ওই সব সম্পত্তি নিলাম করবে। এবং খুব শীঘ্রই এই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
সারদায় টাকা রেখে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলোবাড়ির মালিকানা পাননি অনেকেই। এ দিন এই ধরনের ১৯টি পরিবার কমিশনের মাধ্যমে বারুইপুরের সারদা গার্ডেনে বাংলোর মালিকানা পেয়েছে। রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে সংস্থার মালিক হিসেবে সুদীপ্ত সেনই কমিশনের দফতরের বসে প্রতিটি দলিলে স্বাক্ষর করেন। |