|
|
|
|
হলদিয়ায় বাণিজ্য কেন্দ্র, শুভেন্দুকে কৃতিত্ব পার্থর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে তৈরি বাণিজ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। হলদিয়ার সংহতি ময়দানে ১৮ একর জায়গার উপর ২৫.৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের এই বাণিজ্যকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাণিজ্যকেন্দ্রটির নাম দেওয়া হয়েছেসতীশ সামন্ত হলদিয়া বাণিজ্য কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে ছিলেন তমলুকের সাংসদ তথা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিভিন্ন শিল্পসংস্থার আধিকারিকরা।
হলদিয়ার এই বাণিজ্য কেন্দ্রটি দিল্লির প্রগতি ময়দানের আদলে নির্মিত হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার বর্গ ফুটের শীতাতপ গ্যালারি, হাজার বর্গ ফুটের আলোচনা কক্ষ, ৩৫৬ জনের বসার উপযুক্ত একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, বড় ক্লাবঘর, ৮ কক্ষ বিশিষ্ট অতিথি নিবাস, ব্যঙ্কোয়েট হল, দু’হাজার স্কোয়ার ফুটের ফুড প্লাজা এবং একটি আধুনিক ইন্ডোর গেমস রুমের উদ্বোধন হয় এ দিন। |
|
বাণিজ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন। —নিজস্ব চিত্র। |
উদ্বোধনের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পূর্ব ভারতে দেখার মতো বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরি করেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। এত অল্প সময়ে এই বিপুল কাজ শেষ করার যাবতীয় কৃতিত্ব শুভেন্দু’র।” হলদিয়াকে রাজ্যের দ্বিতীয় শিল্পনগরী আখ্যা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, “এইচডিএ যদি জমি দেয়, তা হলে আমার দফতর হলদিয়ায় হার্ডওয়্যার এবং ইলেকট্রনিক্স পার্ক গড়বে।” বাণিজ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নতুন সরকার ৩৪ মাসের মধ্যেই নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছে।” তিনি দাবি করেন, “এই সময়ের মধ্যে হলদিয়ায় একটি কর্মদিবসও নষ্ট হয়নি। কথায় কথায় রাজনৈতিক শ্লোগানে শিল্পের উৎপাদন ব্যহত হয়নি।” সাংসদের আশা, বিপুল এই বাণিজ্য কেন্দ্রের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করবে হলদিয়ায় বাণিজ্য সংস্থাগুলি। শুভেন্দু বলেন, “সতীশ সামন্ত বাণিজ্য কেন্দ্রেই অদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণের পর তাঁরা বিভিন্ন শিল্পসংস্থায় কাজের সুযোগও পাবেন।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিআইআইএ (কনফেডারেশন অফ ইন্ডায়ান ইন্ড্রাস্ট্রিজ)-র হলদিয়া শাখার প্রধান একে দে। তিনি বলেন, “বিশাল কর্মযজ্ঞ। এত দিনে আমরা নানা ধরনের শিল্প সংক্রান্ত আলোচনা, বাণিজ্যের পরিবেশ পেলাম।” হলদিয়া ইন্ডিয়ান অয়েলের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর অন্তচরণ মিশ্র বলেন, “ছোট ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে সেতুর কাজ করবে এই বাণিজ্য কেন্দ্র।” এই মঞ্চ থেকেই হলদিয়ায় গেঁওখালিতে ২৫ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি নতুন জলপ্রকল্পের উদ্বোধন হয়। এর ফলে হলদিয়া আগামী দশ বছরে ওয়াটার সারপ্লাস এলাকা হিসাবে চিহ্ণিত হল বলে দাবি করেন সাংসদ শুভেন্দু। এ দিনই মঞ্চে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁরা দৈনিক ১০ মিলিয়ন গ্যালন জল নেবেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডল, পূর্বের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল প্রমুখ। |
|
|
|
|
|