মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি বেলপাহাড়িতে
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক-যুবতীদের নিয়ে উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রাম কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। প্রথম পর্যায়ে বেলপাহাড়ি ব্লকের দুর্গম ৫টি গ্রামে উন্নয়ন-কমিটি গড়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে আমলাশোল, কাঁকড়াঝোর, বগডোবা, জুজারধরা ও ময়ুরঝর্না গ্রামে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের এক দফা আলোচনাও হয়েছে। আজ, বুধবার হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা। বেলপাহাড়ি ব্লক অফিসের সভাঘরে উন্নয়নের রূপরেখা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা ওই আলোচনা সভায় থাকবেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহও সভায় থাকতে পারেন। জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারির বক্তব্য, “উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ও পঞ্চায়েতের পরিষেবা নিয়ে ওই কমিটি গুলির সদস্য-সদস্যাদের সঙ্গে এর আগে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁদের এই বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। বুধবার, প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা বেলপাহাড়িতে গিয়ে কমিটি-সদস্যদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন। ওই সব উন্নয়ন-প্রস্তাব বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
গত ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমলাশোলে এসেছিলেন। বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনেছিলেন। তখনই কমিটি গড়ার জন্য সভাধিপতি ও জেলাশাসককে জনতার সামনে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা সভাধিপতি উত্তরাদেবী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক-যুবতীদের নিয়ে কমিটি গড়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকার উন্নয়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচটি গ্রামে উন্নয়ন-কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা জঙ্গলমহলের অন্য প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও একই ভাবে কমিটি গড়ে এলাকার চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন-কাজ করতে চাইছি।”
জেলা পরিষদের তরফে বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বংশীবদন মাহাতোকে উন্নয়ন কমিটিগুলি গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমলাশোলে ১০ জন যুবক-যুবতীকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। বগডুবা গ্রামে কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭ জন, কাঁকড়াঝোরে ১০ জন, জুজারধরা গ্রামের কমিটিতে রয়েছেন ১২ জন যুবক-যুবতী আর ময়ূরঝর্নায় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৬ জন। কয়েক দিন আগে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা বেলপাহাড়িতে গিয়ে কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা করেছেন। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, পঞ্চায়েত স্তরে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত গ্রাম-সংসদ এলাকায় গ্রামোন্নয়ন সমিতি থাকে। সমিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে গ্রামবাসীরাও থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওই সমিতির অস্তিত্ব থেকে যায় কাগজেকলমে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ দিচ্ছেন স্থানীয়রা। জুজারধরা গ্রাম কমিটির সদস্য বাসন্তী টুডু, ময়ুরঝর্নার কল্যাণী মাহাতো, বগডুবার রাম কিস্কুদের বক্তব্য, “এলাকায় পানীয় জল, সেচ, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, সারা বছর কাজ-সহ নানা সমস্যা ও অভাব রয়েছে। এখন প্রশাসন আমাদের কথা শুনতে চাইছে। এটাই বাড়তি পাওনা।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.