|
|
|
|
গড়বেতায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জখম ৬ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা নেতৃত্ব বারবার নির্দেশ পাঠাচ্ছেন। দলের সকলকে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবু তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ছেদ পড়ছে না। দিন কয়েক আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল গড়বেতার গরঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এ বার উত্তেজনা ছড়াল গড়বেতারই আগরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সংঘর্ষে জখম ৬ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “ওই এলাকায় একটা গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এক রায়ত জমি দখল ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। সোমবার ওই জমি দখলের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তখন তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর লোকজন বাধা দেন। অন্য গোষ্ঠী পিছু হটে। মঙ্গলবার তার জেরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে আগরা পঞ্চায়েতের একারিয়ায়। পাশেই ফুলমণিপুর। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ফুলমণিপুর থেকে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর কয়েকজন এসে একারিয়ায় হামলা চালায়। দোকান ভাঙচুর করে, লুঠপাটও চলে।
গড়বেতায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। বর্তমান ব্লক সভাপতি দিলীপ পালের অনুগামীদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুভাষ মাঝির। মঙ্গলবারও এই দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিযোগ, ফুলমণিপুর থেকে যারা একারিয়ায় এসে হামলা করে, তারা দিলীপ গোষ্ঠীর লোক। সুভাষ মাঝির মন্তব্য, “এখন অনেকেই নব্য তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের দলের কেউ কেউ এখন তাদের মদত দিচ্ছে!” দিলীপবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি। তবে, বর্তমান ব্লক সভাপতির অনুগামী এক নেতার দাবি, “আগরার ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”
গোলমালের খবর পেয়ে সোমবারই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ দিন সংঘর্ষের পর বাড়তি পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় নজরদারি চলছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|
|
|
|
|