বালির পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বালি পুরসভার চেয়ারম্যান অরুণাভ লাহিড়ী। তাঁর অভিযোগ, চার বছর আগে যে জলপ্রকল্পের জমি দিয়েছিল বালি পুরসভা, প্রকল্পও তৈরি করেছিল, সেই পুরসভার চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে উদ্বোধন হল তার।
মঙ্গলবার ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ওই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অভিযোগ, তাতে সিপিএম পরিচালিত বালি পুরসভার চেয়ারম্যানকেই আমন্ত্রণ জানায়নি রাজ্য। এ ব্যাপারে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বালি পুরসভার চেয়ারম্যানের চেহারা কেমন, তা-ই দেখিনি। মহাকরণে পুরসভা নিয়ে বৈঠকে সকলে এলেও সিপিএম পরিচালিত বালি পুরসভার চেয়ারম্যান যাননি। যাঁকে চিনি না, তাঁকে আমন্ত্রণ জানাব কেন?”
বালিতে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। নিজস্ব জলপ্রকল্প না থাকায় অন্য পুরসভা থেকে পানীয় জল কিনে এত দিন চলত। ২০১০-এ বাম আমলে কেএমডিএ ওই জলপ্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও কাজ শুরু হয়নি। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং আড়াই বছরের মধ্যে কাজও শেষ হয়। এ দিন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেএমডিএ-র তৈরি ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সিপিএম পরিচালিত বালি পুরসভার চেয়ারম্যান ও অন্য কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
চেয়ারম্যান বলেন, “কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে জানলাম জলপ্রকল্পের উদ্বোধনের কথা। আমাকে জানানোরও প্রয়োজন হয়নি। অথচ প্রকল্পটাই তৈরি করেছিলাম আমরা। জমিও আমাদের। এর পর থেকে জলপ্রকল্পের বিদুতের বিল থেকে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সব বালি পুরসভাকেই দিতে হবে।”
পুরমন্ত্রী বলেন, “ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেই তো হল না। কাজ হয়েছিল কী? বালি পুরসভা বলতে আমি আমাদের দলের রিওয়াজ আহমেদকেই চিনি। বাকিদের দেখিনি, চিনি না।” এ দিন ফিরহাদ জানান, বালিতে পানীয় জল নিয়ে আর সমস্যা রইল না। এখন এই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৪ কোটি ৮০ লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করা হবে বালির ৪ লক্ষ বাসিন্দার জন্য। ২৪ ঘণ্টা জল পাবেন মানুষ। জলকর না বসলেও যাতে জল অপচয় না হয়, লক্ষ রাখা হবে। |