|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে মমতার সভার দিকে তাকিয়ে বাঙালিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
২৫ ফেব্রুয়ারি |
সব কিছু ঠিক থাকলে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডে সভা করতে আসবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আসার কথা অন্না হাজারেরও।
এ রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে লড়ার কথা আগেই ঘোষণা করে গিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। গত মাসে ধানবাদে একটি দলীয় বৈঠকে ঠিক হয়েছে চারটি আসনে তৃণমূল লড়বে। আসনগুলিকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। সেগুলি হল: ধানবাদ, রাঁচি, দুমকা ও গোড্ডা। তৃণমল সূত্রের খবর, নির্বাচনে লড়াই করার জন্য জেভিএম, আজসুর মতো আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গেও জোট বাঁধতে তৃণমূল নেতৃত্ব কথাবার্তা চালাচ্ছেন। কথার্বাতা চলছে নির্দল বিধায়কদের সঙ্গেও। যদি শেষ পর্যন্ত কোনও একটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট চূড়ান্ত হয়, তবে নির্বাচনের আগে এ রাজ্যে এক লাফে অনেকটা এগিয়ে যাবে তৃণমূল। সে ক্ষেত্রে এ রাজ্যে আরও বেশি সংখ্যক আসনেও প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাববে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের কথায়, খুব শীঘ্রই তৃণমূল নেত্রী ঝাড়খণ্ডে সভা করতে আসবেন। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আশা করি নির্বাচনে আমরা ভালো ফলই করব। কারণ গত ১৪ বছর ধরে ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস, বিজেপি কিংবা জেএমএম রাজত্ব করেছে। কিন্তু মানুষের কোনও উন্নতি সেখানে হয়নি।’’
জানুয়ারি মাসে রাঁচিতে এসে জনসভা করেছিলেন মুকুলবাবু। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অন্যান্য নেতৃত্ব। সেদিন সাহেবগঞ্জ, দুমকা, বোকারো, ধানবাদের মতো জেলাগুলি থেকে ভালো সংখ্যার মানুষ এসে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে এ রাজ্যের বাঙালিদের একটি অংশও চাইছে এখানে তৃণমূল খাতা খুলুক। কারণ এ রাজ্যে বাংলা দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতি পেলেও এ পর্যন্ত তার ব্যবহার শুরু হয়নি। বেহাল অবস্থা বাংলা শিক্ষার। বাংলা স্কুল অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যে তৃণমূলের আহ্বায়ক দিলীপ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের পার্টি। ফলে বাঙালিদের কথা তারা ভাববে। এত বছর ধরে এখানে বাঙালিদের লড়াই বাঙালিদের নিজেদেরই লড়তে হচ্ছে। সেটাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে। বিধানসভা কিংবা লোকসভা---কোথাও আমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার কেউ নেই।” |
|
|
|
|
|