|
|
|
|
পরিবারকে গুলি করে আত্মঘাতী এসপি |
সংবাদ সংস্থা • জগদলপুর
২৫ ফেব্রুয়ারি |
স্থানীয় আদালতের বিচারকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে তাঁকে চড় মেরে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের জগদলপুরের এসপি দেবনারায়ণ পটেল। সেই অপরাধে গত কাল সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।
তার কয়েক ঘণ্টা পরেই বাড়ি ফিরে দেবনারায়ণ নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে প্রথমে গুলি করেন স্ত্রী আর দুই ছেলেমেয়েকে। তার পরে নিজেই আত্মঘাতী হন। তাঁর স্ত্রী প্রতিমা (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। বুকে গুলির আঘাত নিয়ে ৬ বছরের ছেলে আরিয়ান এবং ১১ বছরের মেয়ে পূজা রায়পুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার জগদলপুরের রাস্তায় বস্তারের অতিরিক্ত জেলা বিচারক এ টোপ্পোর গাড়ির জন্য যানজট তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসে দেবনারায়ণের। তিনি ছুটে যান বিচারকের গাড়ির কাছে। অভিযোগ, এই সময়ে টোপ্পোর সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন দেবনারায়ণ। টোপ্পোও তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বলে দাবি। রাগের মাথায় টোপ্পোকে চড় মেরে দেন ওই পুলিশ সুপার।
পুলিশের বক্তব্য, দেবনারায়ণ তখনও জানতেন না যে টোপ্পো এক জন বিচারক।
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমনে তাঁর কৃতিত্বের জন্য গত বছরই রাষ্ট্রপতির কাছে পুরস্কার পেয়েছিলেন বছর চল্লিশের এই এসপি। কিন্তু বিচারককে চড় মারার অভিযোগে দক্ষ দেবনারায়ণকে সাসপেন্ড হতে হয় সোমবার সন্ধেবেলা। দেবনারায়ণের সতীর্থদের বক্তব্য, তার পর থেকেই বেশ মুষড়ে পড়েন তিনি।
সোমবার কাজ সেরে সাকেত কলোনির বাড়িতে ফিরে এসে সহকর্মীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি দেবনারায়ণের। পরে তাঁরা জানতে পারেন, রাত দু’টো নাগাদ নিজের সার্ভিস রিভলভার বের করে স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে গুলি করেছেন দেবনারায়ণ। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে তার পরেই শেষ করে দিয়েছেন নিজেকেও। বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে না চাইলেও পুলিশ বিভাগের একাংশের ধারণা, সাসপেন্ড হওয়ার হতাশা থেকেই এই চরম পথ বেছে নিতে হল দেবনারায়ণকে। |
|
|
|
|
|