ট্যাংরার পরে চিৎপুরে আধুনিক প্রযুক্তির কসাইখানা তৈরির অনুমোদন পেল কলকাতা পুরসভা। দরপত্রের মাধ্যমে এই প্রকল্প দ্রুত তৈরি করা হবে বলে জানান পুর-কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, “যাতে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পশুমাংস কেটে বিক্রি করা যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তা মিলেছে। দরপত্রের মাধ্যমে কোনও সংস্থাকে এই প্রকল্প তৈরির বরাত দেওয়া হবে।”
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চিৎপুরে বহুদিন ধরেই একটি কসাইখানা রয়েছে। সেটির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও অর্থাভাবে তা সম্ভব হয়নি। ২০০৮-০৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের বিভিন্ন শহরে উন্নত মানের কসাইখানা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকে সচেষ্ট হতে বলে। এর পরেই পুর-কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প তৈরিতে উদ্যোগী হয়। প্রথমে ট্যাংরায় এই আধুনিক প্রযুক্তির কসাইখানা নির্মাণ করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সেটির উদ্বোধন হয়। অতীনবাবু জানান, কয়েকমাস আগেই চিৎপুরের পুরনো কসাইখানার জন্য নকশা তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচ বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের অর্ধেক বরাদ্দ করবে। বাকি টাকা দেবে কলকাতা পুরসভা। অন্য দিকে, ট্যাংরায় একটি পুরনো কসাইখানা রয়েছে। সেটিকে নতুন ভাবে নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য এখনও কোনও অনুমতি মেলেনি বলে জানান অতীনবাবু। |