পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে উৎসাহ দেখালেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচ্যাম)-এর ভারতীয় কার্যকরী কমিটি। মঙ্গলবার নবান্নে অ্যামচ্যামের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পরে এ কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
অমিতবাবু জানান, অ্যামচ্যামের চেয়ারম্যান তথা জেনারেল মোটরস ইন্ডিয়া-র প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর লোয়েল প্যাডক ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন মার্কিন বণিকসভাটির পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান ও ফাই-টেকের এমডি সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি ছিলেন কোকা কোলা ইন্ডিয়া, ক্যাটারপিলার ইন্ডিয়া, লকহিড মার্টিন, কোয়েকার কেমিক্যাল, জিই, আইবিএম, বোয়িং ইন্ডিয়া, কগনিজ্যান্ট, কেপিএমজি-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও। অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ, কৃষিতে সরবরাহ চেন, স্বাস্থ্য, অসামরিক বিমান পরিবহণ, পর্যটন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির সম্ভাবনা নিয়ে অ্যামচ্যামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তাঁরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা জানতে চেয়েছেন।” |
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে লোয়েল প্যাডক।—নিজস্ব চিত্র। |
অর্থমন্ত্রী এ দিন জানান, বিমানবন্দরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জ্বালানির উপরে কর ৩০% থেকে কমিয়ে ১৫% করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া, কলকাতা বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে একটি বিমান মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন। মন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় (আশিয়ান) দেশগুলির মধ্যে বিমান মেরামতি কেন্দ্রের হাব হিসেবে কলকাতা ভবিষ্যতে গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন অ্যামচ্যাম প্রতিনিধিরা।”
এ ছাড়া, এ রাজ্যের পিপিপি মডেলে কী শর্ত রয়েছে, সে ব্যাপারেও তাঁরা বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন বলে এ দিন উল্লেখ করেন অমিতবাবু। তবে এখনই বিনিয়োগ কতটা হতে পারে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তাঁর কথায়, “বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুযোগ নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে। এর পরে তাঁরা বিভিন্ন লগ্নির প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আসবেন।” |