হাসপাতালের শৌচালয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হল। মঙ্গলবার রামপুরহাট হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “দু’ এক দিনের মধ্যেই অভিযোগকারীকে ডেকে তাঁর বক্তব্য শোনা ও অভিযুক্ত চিকিৎসকেরও বয়ান নেওয়া হবে। কমিটির রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
তবে মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, হাসপাতালে আল্ট্রাসোনোগ্রাফির ব্যবস্থা থাকতেও কেন বাইরে গিয়ে রোগীকে ইউএসজি পরীক্ষা করাতে হবে? দুই, এ ক্ষেত্রে কি ধরে নিতে হবে, চিকিৎসকদের সঙ্গে বাইরের নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রের যোগসাজশ রয়েছে? তিন, মৃত বিপিএল তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন হাসপাতাল তাঁকে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিধান কর্মসূচি’র (আরএসভিওয়াই) সুবিধা দেয়নি? চার, হাসপাতালের আরএসভিওয়াই স্কিমের রোগী সহায়তা কেন্দ্র তা হলে কতটা সক্রিয়? চিকিৎসকেরাই বা কেন রোগীদের এ নিয়ে সচেতন করেন না? প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও। বেশির ভাগ অভিযোগ অস্বীকার করে হিমাদ্রিবাবু বলেন, “বিশেষ ক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসার স্বার্থেই বিশেষজ্ঞ সোনোলজিস্টদের মতামত নেওয়ার জন্য বাইরের পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্দরে আরএসভিওয়াই স্কিমে রোগী সহায়তা কেন্দ্র আছে। সেখান থেকে রোগীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়।” তিনি জানান, স্বপনবাবুর পরিবার ওই প্রকল্পের সুযোগ চেয়েছিলেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলা মনিটরিং কমিটির প্রধান সুবীর কীর্তনিয়ার প্রতিক্রিয়া, “কিছু ক্ষেত্রে প্রচারের অভাবে রোগী আরএসভিওয়াই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রোগীকে ওই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথা জানিয়েছিলেন কিনা দেখতে হবে।” স্বপনবাবুর পরিবারের অবশ্য দাবি, ওই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথা তাঁরা জানতেন না। সিএমওএইচ কার্তিক মণ্ডলের দাবি, “জেলাশাসক নিজে ওই প্রকল্প দেখভাল করছেন। এ ছাড়াও মাস পাঁচেক আগে প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, সভাপতি, জেলাপরিষদের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা শিবির হয়েছে।” |