মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বার সেই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল দুবরাজপুরে। মঙ্গলবার পরীক্ষাকেন্দ্রের মাত্র ১০ মিটারের মধ্যেই উদ্বোধন হল ওই ব্লকের গ্রামীণ মেলার অনুষ্ঠান। মেলায় অবশ্য মাইক বাজেনি। তবে, মাইক না বজলেও নির্দেশিকা অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত হবে না। এ ক্ষেত্রে পর্ষদের সেই নির্দেশিকা লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ওই পরীক্ষাকেন্দ্র সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দির ফর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুপ্তি রায় বলেন, “সকালে পোস্টার দেখে বুঝলাম, গ্রামীণ মেলা হচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশেই কেন মেলার আয়োজন হল, বলতে পারব না।” |
দুবরাজপুরে এই মেলা ঘিরে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন ‘বহিরাগত’ ও ‘কম্পার্টমেন্টাল’ পরীক্ষার্থীদের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। ওই কেন্দ্রে এ দিন অবশ্য মাত্র এক জনই পরীক্ষার্থা ছিল। আজ, বুধবার যখন নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা সেখানে পরীক্ষা দিতে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের অসুবিধা হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অভিভাবকদের একটা অংশ। যদিও প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “এ দিন মাইক না বাজায় তেমন কোনও অসুবিধা হয়নি। বুধবার ইংরাজি পরীক্ষার দিন পরিবেশ এমন থাকলে অসুবিধা নেই।” এমনিতে একই ছাদের তলায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাফল্যের কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে ওই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও অয়োজন থাকছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এমন একটি কাজের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের ঠিক পাশের জায়গাই কেন বেছে নেওয়া হল? দুবরাপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধায় স্বীকার করে নিয়েছেন মেলার জায়গা নির্বাচন সঠিক হয়নি। তবে তিনি স্পষ্টই বলছেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে মাইক পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বিকেল তিনটের পরেই রাখা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হতে দেব না।” |