ভাড়া নিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চাপান উতোরে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে মঙ্গলকোটের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। এমনকী সোমবার দুপুরে ওই দফতরের ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন বাড়ির মালিক সুখেন্দু রায়। পরে মঙ্গলকোটের যুগ্ম বিডিও সঞ্জীব সিংহ রায় ঘটনা স্থলে গিয়ে পনেরো দিনের মধ্যে ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে বাড়ির মালিক তালা খুলে দেন।
মঙ্গলকোটের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরটি (বিএলএলআরও) কৈচরে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ধারে অবস্থিত। ২০০৯ সালের ১ অগস্ট থেকে সুখেন্দুবাবুর বাড়িতে ভাড়া নিয়ে চলছে চলছে দফতরটি। তার আগে কাটোয়া-বলগোনা ছোট লাইনে কৈচর স্টেশনের কাছে দফতরটি ছিল। সুখেন্দুবাবুর অভিযোগ, সাড়ে চার বছর কেটে গেলেও তিনি এক মাসের জন্যেও সরকারের কাছ থেকে কোনও ভাড়া পাননি। ভাড়া চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে সরকারি হিসাবে ৪৪০০ বর্গফুটের ভবনটির জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়া চেয়েছেন। তাঁর দাবি, সরকারের ১৯৯৩ সালের ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী ওই ভবনটির ভাড়া মাসে ২৫ হাজার টাকার উপর। অথচ সরকার প্রথমে বলেছিল ১৪,৫৬৫ টাকা দেবে। পরে আবার সেই টাকা কমিয়ে দিয়েছে।
সুখেন্দুবাবু আরও জানিয়েছেন, তিনি ওই বাড়ি তৈরির জন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। ভাড়া না পাওয়ায় ঋণের টাকা শোধ করতেও সমস্যা হচ্ছে। বিএলএলআরওকে দেওয়া চিঠিতে সুখেন্দুবাবু হুমকি দিয়েছেন, ভাড়া না পেলে জল ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হবেন তিনি। বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি সংস্কার) অশোক সাহা বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিলে অসুবিধা নেই। তবে নতুন তালিকার ভাড়া অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র পাঠানো হয়েছে।” |