দীর্ঘ দশ বছর বন্ধ থাকার পরে মঙ্গলবার থেকে ফের চালু হল ফাগুপুরের কাছে জিটি রোডের পাশের সরকারি ডেয়ারি। এই ডেয়ারিটি অধিগ্রহণ করেছে মাদার ডেয়ারি। আপাতত, এই ডেয়ারিটি থেকে প্রতি দিন পাঁচ হাজার লিটার প্যাকেটজাত দুধ বর্ধমান শহর ও তার আশপাশে সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে বন্ধ থাকা দুর্গাপুরের একটি ডেয়ারি চলতি বছরের মাঝামাঝি চালু হওয়ার কথা চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাণি সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপনবাবু দুধ উৎপাদকদের কাছ থেকে কেনা দুধের দাম লিটার প্রতি দু’টাকা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বলেন, “গো-খাদ্য, গবাদি পশুর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ সরকারের তরফে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও আমরা উপযুক্ত পরিমাণে দুধের সরবরাহ পাচ্ছি না। তাই আমরা দুধ উৎপাদকদের লিটার পিছু ২ টাকা বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি এ বার উৎপাদকেরা বেসরকারি ডেয়ারিগুলিকে দুধ না দিয়ে সরকারকে দুধ সরবরাহ করবেন।” মন্ত্রীর অভিযোগ, শুধু দুগ্ধ পালকেরাই নয়, বর্ধমান জেলায় থাকা দুগ্ধ সমবায়গুলিও আর্থিক সুবিধার জন্য তাদের উৎপাদিত দুধ সরকারকে না দিয়ে বেসরকারি ডেয়ারিগুলিকে দিয়ে দিচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছে সরকারি দুগ্ধ প্রকল্প।
দুগ্ধ মহাসঙ্ঘের চেয়ারম্যান পরশ দত্ত বলেন, “দুধে ভেজাল সংক্রান্ত আইন আরও কড়া করা উচিত। এখন দুধে কেউ ভেজাল দিয়েছে প্রমাণিত হলে দশ বছরের কারাদণ্ড হয়। আমরা চাই, সেই আইন সংশোধন করে এই সাজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে নিয়ে যাওয়া হোক।” অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মিল্ক কমিশনার দিবাকর মুখোপাধ্যায়। তিনিও গো-পালকদের সরকারের কাছে দুধ বিক্রির আবেদন করেন।
বর্ধমানের নতুন করে শুরু হওয়া ডেয়ারি চত্বরেই পশু হাসপাতাল চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এ দিন অনুষ্ঠানের ফাঁকে মন্ত্রী স্বপনবাবু ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন, কয়েক দিন আগে সব যন্ত্রপাতি এসে গেলেও, সেগুলি সঠিক জায়গায় বসানো হয়নি। পশুচিকিৎসাও শুরু হয়নি। এই ছবি দেখে দৃশ্যতই ক্ষুদ্ধ হন মন্ত্রী। উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কাজের ইচ্ছে নেই বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কাজ না করে বেতন নেওয়া যাবে না।” |