খাদ্য সরবরাহ দফতরের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাসের হল মাথাভাঙায়। রবিবার মাথাভাঙা ১ ব্লকের পূর্ব খাটেরবাড়ি এলাকায় মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। অনুষ্ঠানে পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন, কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া উপস্থিত ছিলেন। সরকারি অনুষ্ঠানের ওই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনমন্ত্রী ও অন্যরা লোকসভা ভোটের প্রচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “গত তিন বছরে মাথাভাঙায় নানা উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আপনারা এ সব নিয়ে একটু ভাবুন।” ভূমিহীনদের পাট্টা বিলি, মহকুমায় খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের দুটি নতুন আধুনিক গুদাম তৈরি, মাথাভাঙা পুরসভা এলাকায় পথবাতি, তেকুনিয়ার রাস্তা তৈরির মত একাধিক প্রকল্পের উদাহরণ তুলে রাজ্যের বিরোধীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “ওদের মতো শুধু এটা সেটা করব বলব, আর ভোটের পর করব না আমরা ওই নীতিতে চলি না।” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথাতেও রাজ্য সরকারের সাফল্যের খতিয়ান উঠে এসেছে। রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়ে দেন, “৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের স্থায়ী মহকুমা অফিস ভবন করার কাজে হাত দিয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের অন্যতম দৃষ্টান্ত এটা।” প্রাক্তন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন হাসপাতালে নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালুর উদাহরণ দেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া আরও উন্নত পরিষেবা দিতে ব্লক পর্যায়ে ওই দফতরের অফিস চালুর প্রয়োজনীয়তার সওয়াল করেন। মাথাভাঙার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠানে যে ভাবে বক্তব্য রাখা হয়েছে তা পুরোপুরি লোকসভার আগাম ভোট প্রচারের সামিল। মানুষ এ সব ভাল ভাবে নেবেন না।” |