জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা পরিষদ সদস্য প্রতিনিধি নির্বাচনে তিনটি আসনই দখল করল কংগ্রেস-তৃণমূল। সংসদে জেলা পরিষদ সদস্যর জন্য তিনটি পদ নির্দিষ্ট রয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্যরা ভোট দিয়ে ওই প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেন। ২০ জানুয়ারি তিন আসনে ভোট নেওয়া হয়। রবিবার গণনার পরে কংগ্রেস ২টি আসনে ও তৃণমূল ১টি আসনে জেতার ঘোষণা হওয়ার পরেই বামেরা নালিশ জানান, কংগ্রেস-তৃণমূলের সমঝোতার কারণেই তাদের হার হয়েছে।
তৃণমূলের তরফে সমঝোতার কথা স্বীকার করা হলেও, জেলা কংগ্রেস কোনও সমঝোতা হয়নি বলে দাবি করেছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “সিপিএমকে আটকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল। এর সঙ্গে বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বেনজির নূর বলেন, “কারও সঙ্গে জোট না করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কে কাকে ভোট দিয়েছে বলতে পারব না। খোঁজ নেব।”
প্রাথমিক সংসদের জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচনে কংগ্রেস দুটি আসনে এবং তৃণমূল ১টি আসনে প্রার্থী দেয়। বামেরাও তিনটি আসনে প্রার্থী দেয়। রবিবার গণনার পর জানা যায়, ৩৮ সদস্যের জেলা পরিষদে বামেদের দখলে ১৬টি আসন থাকলেও, সংসদে কোনও আসনেই বাম প্রার্থীরা জিততে পারেনি। মালদহে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের ১৬ এবং তৃণমূলের ৬ জন সদস্য রয়েছে। ৬ জন সদস্য থাকলেও, তৃণমূল প্রার্থী ২১টি ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের দুই সদস্যও ২২ এবং ২১টি ভোট পান। সে জন্য বামেদের তরফে দুই দলের সমঝোতা হওয়া নিজেদের হারের কারণ হিসেবে জানানো হয়। রবিবার জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক অফিসে গণনা হয়। কংগ্রেসের আসাদুল আহমেদ, শ্যামল মণ্ডল এবং তৃণমূলের গৌরচন্দ্র দাস নিবার্চিত হন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “ভোটের আগে থেকেই কংগ্রেস-তৃণমূল গোপনে জোট করে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস যে চিরকাল অনৈতিক রাজনীতি করে, তা প্রমাণ হয়ে গেল।” মালদহ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে ৩৬ সদস্য। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে চেয়ারম্যান ছাড়া রয়েছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক, সমাজকল্যাণ আধিকারিক, তিন পুরসভার কাউন্সিলার প্রতিনিধি, ছয় শিক্ষক প্রতিনিধি, ছ’জন বিধায়ক প্রতিনিধি, ছয় জন সরকারি প্রতিনিধি, এক জন সংসদের কর্মী প্রতিনিধি, তিন জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রতিনিধি এবং তিন জন জেলা পরিষদ সদস্য প্রতিনিধি। পঞ্চায়েত নিবার্চনের পর জেলা পরিষদ সদস্যদের তিনটি আসন শূন্য হওয়ায় সে পদে ফের ভোট হল। |