পৃথক গোর্খাল্যান্ড চেয়ে পাহাড়ের তিন মহকুমায় এ বার পদযাত্রা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। লোকসভায় তেলঙ্গানা বিল পেশের পরেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড চেয়ে আন্দোলনের একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল মোর্চা। সেই মতো রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মিরিকে মোর্চার মহকুমা কমিটির তরফে পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রার পরে দার্জিলিঙের চৌরাস্তায় একটি সভাও হয়। মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গ এ দিনের কোনও কর্মসূচিতেই উপস্থিত ছিলেন না। সভায় বক্তব্য রেখেছেন বিধায়ক তথা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। এ দিনের সভাতেও দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এই নিয়ে দরবার করার কথা জানিয়েছেন রোশন গিরি। জনসভায় রোশন গিরি বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এমন পদযাত্রা পাহাড়ের সর্বত্র করা হবে। তেলঙ্গানা বিল পাশের পরেই প্রমাণ হয়েছে, রাজ্য সরকারের আপত্তি থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার সে রাজ্য ভেঙে নতুন করে রাজ্য গঠন করতে পারে। বাংলার বিধানসভাও কখনওই গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে মত দেবে না। তাই গোর্খাল্যান্ডের দরবার করতে হলে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরবার করব।” |
তেলঙ্গানা পরবর্তী রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই বলে জানিয়ে রোশন বলেন, “জিটিএতে অংশগ্রহণ মানে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি ছেড়ে দেওয়া নয়। ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতেই জিটিএ-এর প্রসঙ্গ ছিল। পাহাড়ের বাসিন্দাদের উন্নয়নের স্বার্থেই জিটিএ-এর কাজ চালাচ্ছি। উন্নয়ন আমাদের অগ্রাধিকার। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনও রকম বিরোধিতা নেই। তবে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিকে চাপ দেওয়া হবে। লোকসভা ভোটের কারণে এখন হয়ত অনেক নেতা-মন্ত্রীকে পাওয়া যাবে না। তবু আমরা চেষ্টা চানিয়ে যাব।” ২ মার্চ সুকনার জনসভাও স্থগিত রেখেছে মোর্চা। মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়। যদিও, এ দিনের সভায় রোশনবাবু জানিয়েছেন, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মোর্চার ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দিল্লি যাচ্ছে। কংগ্রেস-বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি জানানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে দলটি। ওই দলে বিমল গুরুঙ্গ থাকবেন না। ওই দিনই দলের সব কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাখা সংগঠনের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন গুরুঙ্গ। |