চতুর্থ মহানন্দা সেতু পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জমি অধিগ্রহণ করে রাস্তা চওড়া করবে এসজেডিএ। রবিবার শিলিগুড়ির চতুর্থ মহানন্দা সেতু থেকে মাটিগাড়া বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ওই রাস্তা চওড়া এবং সংস্কার প্রকল্পের শিলান্যাস করে এই কথা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। ওই রাস্তার অর্ধেকটাই কম চওড়া। কোথাও ৬ ফুটেরও কম প্রশস্ত। সেই কারণে রাস্তাটি চওড়া না করা হলে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। বড় গাড়ি যাতায়াত করতেও পারবে না। রাস্তা চওড়া করে সংস্কার করা হলে ঝঙ্কার মোড় থেকে মাটিগাড়া বাজার হয়ে ওই পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলতে পারবে। শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও তা সহায়ক হবে। রাস্তাটি চওড়া করতে অন্তত ৪৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেককে জায়গা ছাড়তে হবে। এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে তা বড় ভূমিকা নেবে বলে বাসিন্দাদের একাংশ রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়তে রাজি বলে জানিয়েছেন।
গৌতমবাবু বলেন, “এই রাস্তা চওড়া ও সংস্কারে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন আছে। নানা জায়গায় রাস্তার অংশ দখল-ও হয়ে রয়েছে। তবে জোর করে, বুল্ডজার চালিয়ে কাউকে হটিয়ে দিতে চাই না। বাসিন্দাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ দিয়েই ব্যবস্থা করা হবে।” বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এলাকার জন প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের বলব আপনারা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এলাকার উন্নয়ন কাজে তাঁদের যুক্ত করুন। আলাপ, আলোচনা করে সহজ সমাধানের পথ বার করুন, যাতে দ্রুত কাজ শেষ করা সম্ভব হয়।” এসজেডিএ সূত্রেই জানা গিয়েছে, জমি অধিগ্রহণ বা পুনর্বাসনের খরচ বাদে রাস্তার কাজের জন্য ৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। গত অক্টোবর মাসে প্রথম দফায় চতুর্থ মহানন্দা সেতু ও ঝঙ্কার মোড় থেকে সেতু সংযোজক রাস্তা তৈরি করা হয়। কিন্তু অপর অংশে রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি এবং কম চওড়া বলে গাড়ি চলাচল করতে সমস্যা রয়েছে। সে কারণে দ্বিতীয় দফায় এই কাজের পরিকল্পনা হয়। এ দিন প্রকল্পের শিলান্যাস হল। এলাকার বাসিন্দা ছটু যাদব, আকালি মণ্ডলদের জায়গা ছাড়তে হবে রাস্তা চওড়া করার জন্য। ছটু যাদব বলেন, “রাস্তা চওড়া হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। কিছু জমি ছাড়তে অসুবিধা নেই।” এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বাস করেন আকালিবাবু। কত জমি ছাড়তে হবে তা না জানলেও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়তে রাজি রয়েছেন। |